বাংলাদেশে ফের সংখ্যালঘু হত্যার অভিযোগ, ময়মনসিংহে গুলিতে প্রাণ গেল হিন্দু নিরাপত্তারক্ষীর

Published on:

Published on:

Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) ফের এক হিন্দু ব্যক্তির মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। দীপু দাসের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ময়মনসিংহে গুলি করে খুন করা হল বজেন্দ্র বিশ্বাস নামে এক হিন্দু যুবককে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, সহকর্মীর হাতে থাকা শটগান থেকেই গুলি ছুটে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশে (Bangladesh) ফের এক হিন্দুকে গুলি করে হত্যা

ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা অঞ্চলের একটি গার্মেন্টস কারখানায় আনসার সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন বজেন্দ্র বিশ্বাস। ওই কারখানার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। বজেন্দ্রের বাড়ি সিলেট সদর এলাকার কাদিরপুর গ্রামে। তিনি পবিত্র বিশ্বাসের ছেলে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার কর্তব্যরত অবস্থাতেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলার দাবি, শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় কারখানার ভেতরে প্রায় ২০ জন আনসার সদস্য ডিউটিতে ছিলেন। সেই সময় বজেন্দ্র বিশ্বাস ও তাঁর সহকর্মী নোমান মিঞা একসঙ্গে বসে ছিলেন। অভিযোগ, আচমকাই নোমান মিঞার হাতে থাকা শটগান থেকে গুলি বেরিয়ে যায়। সেই গুলি বজেন্দ্র বিশ্বাসের বাঁ দিকের উরুতে লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই তিনি গুরুতর আহত হন।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বজেন্দ্রর শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সহকর্মীরা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় সহকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

Another Hindu man has been shot dead in Bangladesh.
নিহত বজেন্দ্র বিশ্বাস

আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরের রেশ কাটেনি, ২০২৬-এ ফের ভারত-পাক সংঘর্ষের আশঙ্কা, সতর্ক করলেন মার্কিন বিশেষজ্ঞরা

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শটগান থেকে গুলি কীভাবে ছুটল, তা দুর্ঘটনা না কি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত সহকর্মী নোমান মিঞাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একের পর এক হিন্দু ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।