বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হায়দ্রাবাদ এর এনকাউন্টার এরপর আবার থমথমে গোটা দেশ চলছে রাজপথের রাজ বিদ্রোহ থেমে গেল আরেকটি প্রাণ। তরতাজা প্রাণ আগুনে জ্বলতে জ্বলতে এক কিলোমিটার দৌড়লো। কেঁপে গেল হৃদয়। হয়তো শুধু হৃদয় না আজ জ্বলে গেল সমস্ত সমাজের হৃদয়। শুক্রবার রাতে সফদরজঙ্গ হাসপাতালে মৃত্যু হল উন্নাওয়ের নির্যাতিতার। যাঁকে ধর্ষণ করা হয়ে ছিল। পরে তার বিচার চাইতে গিয়ে দু-দিনে আগে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এরপরও বারবার করে সতর্ক তা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কেউ।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।হাসপাতালের প্রধান চিকিত্সক শলভ কুমার জানান, রাত ১১.১০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হন নির্যাতিতা এবং মৃত্যু হয়। নির্যাতিতা পুলিশকে বয়ান দিয়ে জানিয়েছেন, রায়বেরলি যাওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার স্টেশন পৌঁছন। ওই দিন ধর্ষণ মামলায় তাঁর শুনানি ছিল। সেখানেই তাঁকে ধাওয়া করে পাঁচ দুষ্কৃতী। এরপরে প্রানপনে ভাগতে থাকে সে। কিন্তু হয়তো জীবনের শেষ মিনিটে সেখানে অপেক্ষা করছিল তার জন্য। যার মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্ত শিবম ত্রিবেদী এবং শুভম ত্রিবেদীও ছিল। তারা প্রথমে লাঠি দিয়ে নির্যাতিতার পায়ে সজোরে আঘাত করে। গলায় ছুরি চালায়। এরপর পেট্রোল ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগা অবস্থা নির্যাতিতা ছুটতে ছুটতে প্রাণ ভিক্ষা করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের তত্পরতায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে বুঝে পরে ভর্তি করা হয় সফদরজঙ্গ হাসপাতালে। এরপর সেই ঝুলন্ত দেহ ছটফট করতে থাকে জ্বালায়। কিন্তু তার পাশে দাঁড়ানোর মত তখন ছিল না কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব না ছিল কোন সমাজকর্মী। নির্যাতিতার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে জানায় চিকিত্সকরা।
এর আগেজানা গিয়েছে, গত মার্চে অভিযুক্ত শিবম এবং শুভমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। কিন্তু নির্যাতিতার অভিযোগ ঘটনার ৪ মাস পর অভিযোগ দায়ের করা হয় আদালতের হস্তক্ষেপে। পাঁচ দিন আগে জামিনে ছাড়া পায় শিবম। এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও, এই ঘটনায় দোষীদের যথাপোযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এখন গোটা দেশের রোষ পড়েছে উত্তর প্রদেশ সরকারের ওপর। কত শীঘ্র এর ব্যবস্থা হয় সেটাই এখন দেখার।