বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ আচমকাই দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। ফেসবুকে ওনার একটি ফ্যান পেজে দলের বিরুদ্ধে ওনাকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেছেন, মনে হয় কেউ কেউ চায় না আমি মানুষের কাছে যাই। তিনি আরও লেখেন, ‘আমি আমার কর্তব্য পালনের চেষ্টা করে যাব। যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিই আগামী 16 জানুয়ারি 2021 শনিবার দুপুর দুটোয় জানাব।” শতাব্দী রায়ের এই পোস্টের পর রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এখন সবার প্রশ্ন, তাহলে কি এবার অনুব্রতর গড়ে তৃণমূলে ভাঙন ধরছে?
শতাব্দী রায়ের এহেন ফেসবুক পোস্টের পর রাজ্যের আরও এক তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। দুদিন আগেও যিনি বলতেন আমি তৃণমূলেই আছি, দল ছাড়ছি না। আজ তিনি বলছেন, আমার কাছে সমস্ত সম্ভাবনাই খোলা আছে। নতুন করে বেসুরো হওয়া তৃণমূলের ওই সাংসদ হলে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী।
১২ জানুয়ারি ২০২১ এ দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছিল বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে। এর ঠিক পরের দিনই ওনাকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ওনার জায়গায় নতুন সভাপতি করা হয় তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহয়াপাত্রকে। শিশির অধিকারীকে দেওয়া হয়েছে চেয়ারম্যানের পদ।
পরপর দুদিন দুটি পদ হারিয়েও শিশির অধিকারী বড় মুখ করে বলেছিলেন যে, তিনি তৃণমূলেই আছেন। যদিও সেদিন দলীয় নেতৃত্বের প্রতি তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তবু দলে থাকার কথাই জানিয়েছিলেন। তবে দলে থাক্র মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অন্য সুর শোনা গেল ওনার গলায়। বৃহস্পতিবার শিশির অধিকারী বললেন, ‘সমস্ত রকম সম্ভাবনার দরজা খোলা রয়েছে।”
আজ সংবাদমাধ্যমকে তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতা জানান, ‘আমি আমার অনুগামীদের সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব। সমস্ত রকম সম্ভাবনার দরজা খোলা রয়েছে।” দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কোনও জড়বস্তু নই যে যেখানে খুশি আমাকে ফেলে রাখা হবে।” তিনি এও বলেন যে, আমার শারীরিক যা ক্ষমতা রয়েছে, তাতে আমি ১৩০ বছর বাঁচব।