বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাওবাদী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে চিঠি লিখে অনুরোধ জানিয়েছে, কিছুদিনের জন্য অভিযান (Anti-Maoist operation) স্থগিত রাখা হোক। তাঁদের দাবি, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যদি যৌথ বাহিনীর অভিযান বন্ধ থাকে, তাহলে বহু সদস্য আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এবং সংগঠনের ভিতরে আলোচনাও চালানো সম্ভব হবে।
হিডমার মৃত্যুর পরেই চিঠি (Anti-Maoist operation)
কয়েক সপ্তাহ আগে অন্ধ্রপ্রদেশে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন মাওবাদীদের শীর্ষ নেতা মাদ্ভী হিডমা (Anti-Maoist operation)। তাঁর মৃত্যুর পরেই এসেছে এই আবেদন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এটা সংগঠনের ভিতরের বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত হতে পারে।
কারা চিঠি পাঠালেন?
চিঠিটি লিখেছেন মহারাষ্ট্র-মধ্যপ্রদেশ-ছত্তীসগড় (MMC) স্পেশাল জোনাল কমিটি-র মুখপাত্র অনন্ত। তিনি তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, যথা – দেবেন্দ্র ফড়নবীস (মহারাষ্ট্র), বিষ্ণুদেও সাই (ছত্তীসগড়) ও মোহন যাদব (মধ্যপ্রদেশ) এর কাছে আবেদন করেছেন যে, আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হলে বহু মাওবাদী অস্ত্র ছেড়ে দিতে প্রস্তুত।
কেন সময় চাইছে মাওবাদীরা?
অনন্ত তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক শীর্ষ নেতা আত্মসমর্পণ করেছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মল্লজুলা বেনুগোপাল রাও ওরফে সোনু আগেই জানিয়েছিলেন যে, কিছু সময়ের জন্য সশস্ত্র আন্দোলন বন্ধ রাখতে চান। পরে তিনিও আত্মসমর্পণ করেছেন। তেলঙ্গানায় আত্মসমর্পণ করেছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পুল্লুরি প্রসাদ রাও।
এই উদাহরণ তুলে ধরে অনন্ত বলেন, MMC–র বহু সদস্য সরকারি পুনর্বাসন প্রকল্পে যোগ দিতে চান। তবে সিদ্ধান্ত নিতে সংগঠনের প্রতিটি স্তরের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন। তাই ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হোক। এছাড়া তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, সময় চাওয়ার নেপথ্যে কোনও গোপন পরিকল্পনা নেই। এছাড়া জানিয়েছেন, এ বছর তাঁরা People’s Liberation Guerrilla Army Week-ও পালন করবেন না। উল্লেখ্য, সময়সীমা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে নকশালমুক্ত ভারতের লক্ষ্য ঠিক করেছেন, তার মধ্যেই পড়ে (Anti-Maoist operation)।

আরও পড়ুনঃ ‘নগরবন্ধু প্রকল্প’ ফেরাতে ফের তৎপর পুরসভা! প্রস্তুত রাজস্ব দপ্তর, জানালেন ফিরহাদ
কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য আগামী ৩১ মার্চ-এর মধ্যে দেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে মাওবাদী কার্যকলাপ নির্মূল করা। সেই কারণে কয়েক মাস ধরে লাগাতার অভিযান চলছে (Anti-Maoist operation)। ইতিমধ্যেই বহু মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণ করেছেন, ফলে সংগঠনের শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় মাওবাদী নেতৃত্বের হঠাৎ এই চিঠি অনেকের মতে বড় কৌশলগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।












