বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ট্রাম্পকে সরিয়ে আমেরিকার ৪৬ তম রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিলেন জো বিডেন (joe biden)। সেইসঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে একই দিনে শপথ গ্রহণ করলেন ভারতীয় (indian) বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। জানা যায়, মার্কিন মুলুকে এই দুই ব্যক্তিত্বের পদাধিকারের পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের। তারাই বিডেন এবং কমলা হ্যারিসের জয়ের পথ সুগম করে তোলে।
জো বিডেন খুব ভালো করেই জানতেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব খুবই নিবিড়। তাই রাষ্ট্রপতির পদ পেতে গেলে, তাঁকে আগে সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের মন জিততে হবে। সেইমত ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসকে তিনি উপ-রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচন করেন এবং নির্বাচনী প্রচারে ভারতীয়দের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন।
রাষ্ট্রপতির পদ জেতার আছিলায় বিডেন ঘোষণা করেছিলেন, ক্ষমতায় আসার পর প্রথমেই তিনি ইমিগ্রেশন এন্ড ভিসা পলিসির উপর থেকে ট্রাম্প প্রদত্ত নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে দেবেন। বিডেনের এই প্রতিশ্রুতিতেই বিডেন এবং কমলা হ্যারিসককে সমর্থন করে মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী সকল ভারতীয়।
তবে একটা বিষয় এখনও উঠছে, ট্রাম্পের রাজত্বের ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, তা কি বিডেন টিকিয়ে রাখতে পারবেন, নাকি বন্ধুত্বের এবার ফাটল ধরবে? ভারতের ৩৭০ ধারা বাতিল, সিটিজেনশিপ অ্যামেডমেন্ট অ্যাক্ট, হিউম্যান অ্যাক্ট- এইসকল বিষয়ে ট্রাম্প মুখ না খুললেও, বিডেন এবং কমলা হ্যারিস প্রথম থেকেই ভারতের বিরুদ্ধাচারণ করে এসেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তারা পূর্বেকার মতই ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে ভারতের সমালোচনাই করবে।
আরও জানা গিয়েছে, বিডেন নিজের নির্বাচিত প্রতিনিধি মণ্ডলে ২০ জন ভারতীয়কে রাখলেও, তাদের মধ্যে কেউ কিন্তু BJP রা RSS পন্থী নয়। এরা সকলেই কিছুদিন আগে পর্যন্ত মোদী সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল। নির্বাচনের পূর্বে BJP রা RSS পন্থীদের দলে রাখলেও, নির্বাচনের পর প্রতিনিধি মন্ডফলে তাদের আর জায়গা দেননি বিডেন।