Bangla Hunt Desk: ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ এই বার্তাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বাংলার (West bengal) বিভিন্ন জেলায় পালিত হল বিজেপির (Bharatiya Janata Party) কর্মসূচী। কিন্তু এখন অভিযোগ উঠছে বহু জায়গায় সংগঠিত বিজেপির এই ধর্না মঞ্চ পুলিশকর্মীরা ভেঙ্গে দিয়েছে। এই ধর্নায় যোগদান করেছিলেন শয়ে শয়ে বিজেপির কর্মী এবং সমর্থকরা।
কোথায় কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই ধর্না মঞ্চ?
বিজেপি সমর্থকদের এই ধর্না মঞ্চ বাংলার বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, রামপুরহাট, বাঁকুড়া, আলিপুর দুয়ার, জলপাইগুড়ি, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, শ্রীরামপুর, বসিরহাট, হাওড়া, উত্তর মালদা, উলুবেড়িয়া, মুশির্দাবাদে এদিন বিজেপির কর্মসূচী সংগঠিত হয়। এই ধর্না মঞ্চে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির সাধারণ নেতা থেকে শুরু করে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সকলেই তাঁদের বক্তব্য রেখেছেন।
রামপুরহাটের ধর্না মঞ্চ
এই সকল ধর্না মঞ্চের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল রামপুরহাটের ধর্না মঞ্চ। বীরভূমের রামপুরহাটের বিজেপি সমর্থকদের শ্লোগান ছিল, ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও। গনতন্ত্র বাঁচাও’। সেখানকার বিজেপি কর্মীরা বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে ধর্না মঞ্চ বানিয়ে সেখানেই ধর্নায় সামিল হয়। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল, জেলা কমিটির সম্পাদিকা শ্রাবন্তী ব্যানার্জি, বিজেপি যুব মোর্চার বীরভূম জেলা সভাপতি শান্তনু মণ্ডল, রামপুরহাটের মহিলা মোর্চার সভানেত্রী রশ্মি দে সহ বেশ কয়েকশো বিজেপি কর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন এদিনের এই ধর্না মঞ্চে।
রামপুরহাটের বিজেপির ধর্না মঞ্চ থেকে বিজেপির বীরভূম জেলা কমিটির সদস্য মানস বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘২১-এ বিজেপির বিজয় মিছিলে চায়না ট্রলিতে করে অনুব্রত মন্ডলকে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হবে। ট্রলির পিছনে পিছনে চলবে রোলার। সেদিন এই অনুব্রত মণ্ডল বুঝতে পারবেন কাকে বলে মৃত্যুভয়।”