বাংলাহান্ট ডেস্কঃ না এমপি, না এমএলএ, না তিনি কাউন্সিলর। বীরুভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ হিসাবে পরিচিত অনুব্রত মণ্ডলের নাম গন্ধ এবারের ভোটে তেমন মিলছে না। পূর্বের একাধিক ভোটে একেরপর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে চর্চায় উঠে এসেছিলেন তিনি। তবে এবার তেমন দেখা মিলছে না তাঁর! প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “আমি জেলায় জেলায় গিয়ে খেলা শেখাচ্ছি, ‘ভয়ঙ্কর খেলা’, আর আমার কাছে খেলা শিখলে তৃণমূলের (TMC) জয় কেউ আটকাতে পারবে না”।
এদিন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) মন্ত্রী, এমপি, এমএলএ এবং কাউন্সিলর না হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘নেতা-মন্ত্রী হলে তো দিদিকে ঠকিয়ে চলে যেতাম, তিনি এও বলেন, আমাকে তো একবার রাজ্যসভার সাংসদ করার কথা হয়েছিল। রাজি হয়নি।’ এমনকি তৃণমূলের দলবদলের পালা উস্কে দিয়ে তিনি বলেন, ‘এবারের ভোটে দিদিই ক্ষমতায় আসবে, কিন্তু দিদিকে (Mamata Banerjee) বলব, মানুষ চিনতে একটু বেশিই সময় নেওয়া হোক, একেবারে অন্ধবিশ্বাস না করে, বরং মানুষকে চিনে ক্ষমতা দেওয়া দরকার।’
এবারের ভোটে তৃণমূলের অন্যতম স্লোগান ‘খেলা হবে’ প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল জানান, ‘ ভালো খেলার জন্যই প্রথম তিনটি ভোট পর্বে আত্মবিশ্বাসী দল, আর এভাবেই বজিয়ে রাখতে পারলে বাকি দিন গুলোতে সমস্যা নেই’। এমনকি ‘খেলা হবে’ নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বিশ্লেষণ, ‘এবারের খেলা ভয়ঙ্কর, তৃণমূলের সঙ্গে এই খেলায় কেউ পেরে উঠবে না, সবথেকে বড় বিষয়টা হল প্রশিক্ষণের, কোন বলে ছয়, কোন বলে দুই,আর কোন বলে চার নিলেও আউট হব না, তা বুঝে গেলেই সব সমস্যার নিকেশ’।
উল্লেখ্য, মুখ খুলেই বিতর্কিত মন্তব্য, এমনকি একাধিক নতুন শব্দ বন্ধনীর জন্ম দাতা দিন দুয়েক আগেই, মোদীর (Narendra Modi) ‘দিদি ও দিদি’ বলে সম্মোধনের পাল্টা দিয়ে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। মোদীর ‘দিদি ও দিদি’, যা নিয়ে শাসক-বিরোধী সব শিবিরেই রাজনৈতিক তরজা ছিল চরমে। তখনই সম্প্রতি একটি জনসভায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে অনুব্রত মণ্ডলকে বলতে দেখা যায়, ‘নরেন ও নরেন’। সেটি ঘিরে ফের সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি।