বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পরিবহন মন্ত্রীর পর ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, দল ছাড়লেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Laxmi Ratan Shukla)। নেতাদের দল ছাড়ার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। ব্যাঙ্গার্থ ভাষায় করলেন কটাক্ষ। তুলনা করলেন ভেড়ার পালের সঙ্গে। সেইসঙ্গে বললেন, এতে দলের কিছু এসে যায় না।
আসন্ন নির্বাচনের আগেই ভাঙ্গছে তৃণমূল। দল ছাড়ছেন বহু হেভিওয়েট নেতারা। বাংলার মসনদ দখলের লড়াইয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে সকল রাজনৈতিকদল। টার্গেট ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়তেই বেশকিছু দুর্বল হয়ে পড়েছে সবুজ শিবির। এবার তৃণমূলের ছত্রছায়া ত্যাগ করলেন আরও এক প্রথম সারির নেতৃত্ব, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা।
লক্ষ্মীরতন শুক্লা দলত্যাগের পেছনে অবশ্য কারণ হিসাবে দেখিয়েছেন ক্রীড়া জগতে ফিরে যাবার কথা। কিন্তু বিরোধী দল তাঁর জন্য দরজা খোলা রেখে আহ্বানও জানিয়েছে। নির্বাচনের পূর্বেই বেশ সরগরম হয়ে উঠছে বঙ্গ রাজনীতি। একদিকে যেমন চলছে ড্যামেজ কন্ট্রোলের কাজ, অন্যদিকে নদীর পাড় ভেঙ্গে যাওয়ার মত, অব্যাহত তৃণমূলের ভাঙ্গন।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা দল ছাড়াও পর তাঁকে কটাক্ষ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার মুরারই ১ ব্লকের পলসা কারবালা মাঠে তৃণমূলের এক জনসভায় উপস্থিত হয়ে ব্যাঙ্গার্থ ভাষায় বিশ্লেষণ করলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লার দল ছেড়ে যাওয়াকে।
এদিন সভায় উপস্থিত হয়ে অনুব্রত মন্ডল বললেন, ‘বাংলায় ৬৮ টি প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বিজেপি কিন্তু বাংলাকে বেঁচে দেবে, ওদের হাতে তুলে দিয়ে ভুল করবেন না। দিদি না থাকলে বাংলায় অন্ধকার নেমে আসবে। তৃণমূল যদি ২২০- ২৩০ আসন না পায়, তাহলে আমি দল ছেড়ে দেব’।
লক্ষ্মীরতন শুক্লার দলত্যাগের বিষয়ে কটাক্ষ করে বলেন, ‘দেখবেন গ্রাম বাংলায় অনেক সময় কৃষকের গোয়ালে একসঙ্গে ভেড়ার পাল ঢোকে। আবার দেখবেন কৃষকের গোয়াল থেকে ৩০ টা ভেড়ার মধ্যে উৎসবের সময় দুটো একটা কমে যায়। তাতে মালিকের কি কিছু এসে যায়? কি বয়ে যায় মালিকের?’