মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে সাহায্য করায় ২টি গাড়ি নেন অনুব্রত! দাবি কর্ণধার মলয় পিটের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে আসছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগেই তোলাবাজির অভিযোগে সিউড়ির ২ এলাকার এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন। এর পর কেষ্টর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয় পিট।

শনিবার সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি স্বীকার করেন, ‘তাঁর কাছে ২টি গাড়ি চেয়েছিলেন অনুব্রত। কিন্তু সেগুলির দাম মেটাননি এখনও’। বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল বেশ ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত মলয়বাবু। এমনকী বিরোধীরা দাবি করেন, অনুব্রতর কালো টাকা খাটে মলয় পিটের সংস্থায়।

এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মলয় পিট বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলের সহযোগিতা ছাড়া মেডিক্যাল কলেজ করতে পারতাম না। অনেকের অবদান আছে। তবে ওঁর অবদান সব থেকে বেশি।’ এদিন মলয়বাবু দাবি করেন, অনুব্রত মণ্ডলকে ২টি গাড়ি দিতে হয়েছে তাঁকে। তিনি বলেন, ‘তিন কিলোমিটারের মধ্যেই আমার সব কাজ মিটে যায়। অনুব্রত মণ্ডল ফোন করে সরকারি আধিকারিকদের বলেন আইনের মধ্যে হলে মলয়ের কাজটা করে দিও। এর পর তিনি দাবি করেন, আমাকে গাড়ি দাও। আমি কি আর না বলতে যাব? আমি বললাম ২টো গাড়ি আছে, তাহলে ওই ২টোই নিয়ে নেবেন? উনি বললেন, হ্যাঁ নিয়ে নেব। এর পর উনিও আমাকে পয়সা দেননি। আমিও আর চাইতে পারিনি।’ মলয়বাবু আরও বলেন, ‘কিছু পেতে গেলে তো কিছু দিতে হয়।’

malay sir

 

প্রসঙ্গত, স্বাধীন চ্যারিটেবল ট্রাস্ট নামে একটি সংস্থা চালান মলয়বাবু। সেই সংস্থার অধীনেই তৈরি হয়েছে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ১ ডজন বিএড কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এই ট্রাস্টের নামেই। অভিযোগ, এই ট্রাস্টে বেনামে খাটে অনুব্রত মণ্ডলের কালো টাকা। অনুব্রত মণ্ডল যে গাড়িগুলি করে বিভিন্ন জায়গায় যান তার মধ্যে ২টি নথিভুক্ত রয়েছে এই ট্রাস্টের নামেই। শুক্রবার বোলপুুরে অনুব্রতর রাইস মিলে সিবিআই তল্লাশিতে গ্যারাজে দেখা যায় সেই বিলাসবহুল গাড়ি দু’টি। সঙ্গে দেখা যায় আরও একটি বিলাসবহুল গাড়ি। তৃতীয় সেই গাড়ির মালিক মুখ খোলেন শুক্রবার বিকেলেই। আর আজ সকালেই মুখ খুললেন মলয় পিটও।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর