তিহাড়ের মেনু শুনেই নাক খাদ্যে অনীহা অনুব্রতর! ফরমায়েশ মেটানো সম্ভব নয় বলে সাফ জানাল ED

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন দুয়েক হল বহু টানাপোড়েন শেষে গরু পাচার কাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে দিল্লি (Delhi) পাড়ি দিয়েছে ইডি (ED)। আপাতত তাদের হেফাজতেই রয়েছে বাংলার কেষ্ট। এরই মধ্যে ইডি সূত্রে দাবি, তিহাড় (Tihar) জেলের মেনু শুনেই অবসাদগ্রস্ত হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা অনুব্রত (Anubrata Mandal)।

মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে পৌঁছেই মাঝ রাতে আদালতে পেশ করা হয় কেষ্টকে। তারপর থেকেই চলছে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। শুক্রবার ফের আদালতে পেশ করা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। তার আগে যতদূর সম্ভব জেরা এগিয়ে রেখেছেন আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, টানা জিজ্ঞাসাবাদে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। যার থেকেই জানা গিয়েছে, আসানসোল জেলে নিজের পছন্দমতো খাবার চাইতেন অনুব্রত, তৎক্ষণাৎ পেয়েও যেতেন সেগুলো।

সূত্রের খবর, আসানসোল জেলে রীতিমতো কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতেন অনুব্রত। সেখানে প্রতিদিনের মেনুতে কেষ্টর ফরমায়েশ মতো হাজির করা হত মাছ-মাংস-দুধ-ঘি-পনির-মিষ্টি-লুচি-পরোটা সহ একাধিক সুস্বাদু পদ। জানা গিয়েছে, নেতার পাশাপাশি সেসব আহারের ভাগ তার সহবন্দিরাও পেতেন। এখানেই শেষ নয় দিন বিশেষে কখনও কখনও তার পাতে পড়তো খাসির মাংস-পোলাও থেকে নিয়ে ফ্রায়েড রাইস-চিকেন কষাও।

anubrata

তবে সময় বদলেছে, বদলেছে স্থানও। দিল্লিতে ইডি হেফাজতে অনুব্রতর এই ভোজন আবদার মেটানো সম্ভব নয় বলে সাফ জানানো হয়েছে কেষ্টকে৷ ইডি সূত্রে খবর, ভোলাভালা কেষ্ট তরফে কিছু উপাদেয় ‘ব্যঞ্জনে’র আবদার করা হয়েছিল। যার মধ্যে ছিল মাছের কালিয়া, পোস্তর বড়া, রাবড়ি, মিহিদানা, ছানার জিলিপির মতো পদ। তবে অনুব্রতর এই খাদ্য ফরমায়েশ ইতিমধ্যেই নাকচ করা হয়েছে ইডি তরফে।

বাংলায় ‘জামাই আদর’ মিললেও ভিন রাজ্যে গিয়ে যে তিনি আর সকল অভিযুক্তর মতোই একজন সেকথা অনুব্রতকে ভালো মতো বুঝিয়ে দিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, এক ইডি আধিকারিক ‘বীরভূমের বাঘ’কে তিহাড় জেলের মেনু কার্ডের উদাহরণ তুলে ধরেছেন, যা শুনেই বেজায় অখুশি অনুব্রত মণ্ডল। মহাভোজের বদলে দুঃস্বপ্ন হয়ে তিহাড়ের বন্দিভোজ।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর