বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্বমহিমায় তিনি। পদ্ম ফাটাকেষ্ট’র জবাব এবার জোড়াফুলের কেষ্ট। আদালতের এজলাসে বসেই দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বললেন, ‘বিজেপির মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakrabarty) সভার পাল্টা সভা করতে হবে বীরভূমে (Birbhum)। এত বড় সভা করতে হবে, যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমে তৃণমূল (TMC) ছাড়া আর কিছুই না থাকে।’
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বাংলা সফরে বেরিয়েছেন রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির অন্যতম সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী। বীরভূমে দলের সাংগঠনিক শক্তি নিজের চোখে খতিয়ে দেখতে সেখানে সভা করারও কথা বাংলা সিনেমার এই অভিনেতার। এবার ভরা এজলাসে বসে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের তারই পাল্টা সভার আয়োজন করার ‘নির্দেশ’ দিতে দেখা গেল অনুব্রত মণ্ডলকে।
গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে শুক্রবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানো হয়। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন তৃণমূলের কয়েক জন নেতা-কর্মী। পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে তাঁদেরকে বেশ কিছু নির্দেশও দেন অনুব্রত। আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুপুরে শুনানি শেষ হতেই এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। তখনও এজলাসের বেঞ্চে বসেছিলেন অনুব্রত। সেই সময়েই বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েক জন তৃণমূলের নেতা-কর্মী অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করেন। অনেকেই তাঁকে ঠাকুরের ফুলও দেন। দলীয় কর্মীদের দেখতে পেয়ে একে বারে চেনা মেজাজে ফিরে আসেন বীরভূমের ডাকসাইটে নেতা।
তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর, জেলায় দলের সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ নেন ‘কেষ্ট। তাঁদের বেশ কিছু পরামর্শও দেন তিনি। কর্মীদের মুখ থেকে আগামী ২৭ নভেম্বর মিঠুনের বীরভূম-সফরের কথা শুনে অনুব্রত পরিস্কার করে বলেন, পাল্টা বিরাট সভা করতে হবে বীরভূমে। অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করে আসা দলীয় এক কর্মীর কথায়, ‘দাদার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। ফুল আর লাড্ডু এনেছিলাম। অনেক কথা হল। দাদা বলেছেন, এত বড় সভা করতে হবে যাতে পঞ্চায়েত ভোটে সব আসন তৃণমূলই পায়।’
কিন্তু, অদ্ভুত বিষয় হল, গরু পাচার মামলায় শুক্রবার আসানসোলের আদালতে অনুব্রতের জামিনের আবেদনই করেননি তাঁর আইনজীবী। বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতকে আরও ১৪ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। গরু পাচার মামলার পরের শুনানি হবে ৯ নভেম্বর।