বিরাট ধাক্কা! আদালতের এক রায়েই কেষ্টর জীবনে নেমে এল গভীর অন্ধকার…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুজো, কালীপুজো তিহারেই কেটেছে। এবার দোলযাত্রাটাও সেখানেই কাটাতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। মঙ্গলবার অনুব্রত, এনামুল হক, সুকন্যা মণ্ডল সহ গরু পাচার মামলায় তিহার জেলে (Tihar Jail) বন্দি প্রত্যেককে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয়। ইডির তরফ থেকে দাবি করা হয়, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলা। আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের সঙ্গে গরু পাচার মামলা যুক্ত।

বিপুল পরিমাণ কালো টাকার পাচার নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানায় ইডি। তবে এখনও সমস্ত তথ্য, সাক্ষ্য ও প্রমাণ হাতে আসেনি। এখনও অবধি অনেককিছু অন্তরালে রয়েছে। তার জন্য আরও তদন্তের দরকার। সবকিছু শোনার পর আগামী এপ্রিল মাসে গরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case) পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে আদালত। আগামী ২৬ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে প্রথমে গ্রেফতার হন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এরপর ইডিও (ED) তাঁকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘসময় আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি থাকার পর তিহারে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। বর্তমানে এখানেই রয়েছেন বীরভূমের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।

অনুব্রতকে গ্রেফতারের পর গরু পাচার মামলায় আরও বেশ কিছু ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা। বাবার মতো তিনিও বর্তমানে তিহারেই আছেন। বীরভূমের এই নেতার নাম এত বড় মামলায় জড়ালেও তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই তাঁর পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন।

আরও পড়ুনঃ ED-র জালে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্ত্রী, ৪৫ লাখের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল তদন্তকারী সংস্থা

anubrata mondal tihar jail

সম্প্রতি বীরভূমে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেও অনুব্রত ওরফে কেষ্টকে নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, নানান চক্রান্ত চলছে, বীরভূমেও চলছে। কেষ্টকে দীর্ঘদিন জেলবন্দি করে রাখলেও মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি বলে দাবি করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আসার সময় দেখছিলাম, বেশিরভাগ তরুণ প্রজন্ম কেষ্টর কথা বলেছে। আমি কিন্তু শিখিয়ে দিইনি। ও কাজ করতে জানে। সেই জন্য মানুষের মনে রয়ে গিয়েছে’। এটুকুই নয়। অতীতেও অনুব্রতর পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন মমতা। সেই সময় বলেছিলেন, অনুব্রত যখন মুক্তি পাবেন তখন তাঁকে বীরের সম্মান দিয়ে নিয়ে আসতে হবে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর