বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সেই গত বছর থেকে দুর্নীতি ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। অগাস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সেই সময় থেকে জেলেই দিন কাটছে তার। বর্তমানে বাংলা পেরিয়ে কেষ্টর ঠিকানা হয়েছে দিল্লির তিহাড় জেল।
কেষ্ট কন্যা সুকন্যাও বর্তমানে তিহাড় বন্দি। তবে এরই মধ্যে অনুব্রতের জীবনে ফের এল দুসংবাদ। এবার বীরভূমের (Birbhum) জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি থেকে বাদ পড়ল অনুব্রত অনুগামীরা। তবে এই ঘটনা নতুন নয়, কেষ্টর অনুপস্থিতিতে প্রায় একবছর ধরেই তার ঘনিষ্ঠরা ধীরে ধীরে বাদ পড়ছেন জেলা থেকে। বারংবার এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে।
এই অভিযোগ আরও বেশি জোড়ালো হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকে। এরই মধ্যে সোমবার বীরভূম জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠন করার পর দেখা গেল সমিতিতে কেষ্ট অনুগামীরাদের ঠাঁই হল না। এমনকি বীরভূমে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ জেলার প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরীকেও স্থায়ী সমিতিতে রাখা হয়নি। উল্লেখ্য, এবারেও তিনি জেলা পরিষদের আসনে জয়লাভ করেছেন।
আরও পড়ুন: বুধে ED দফতরে নাকি I.N.D.IA জোট এর বৈঠকে! কোথায় যাচ্ছেন অভিষেক? জানা গেল গোপন তথ্য
অন্যদিকে, সব থেকে অধিক গুরুত্ব পেয়েছে অনুব্রত মণ্ডল বিরোধী নামে পরিচিত বীরভূমের কাজল শেখ। জেলা সভাধিপতি করা হয়েছে তাকে। ৭ দিন পর কর্মাধ্যক্ষের তালিকা গঠন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, স্থায়ী সমিতির সদস্যরা কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে যাদের নাম সুপারিশ করবেন তাদেরকেই কর্মাধ্যক্ষ করা হবে।
জানা যাচ্ছে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মাত্র দু তিনজনকে পুরনো কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে রাখা হবে। বাকি নতুন মুখ আনতে চাইছে দল। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি অনুব্রত। দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে বহু কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। তাহলে কী বিরোধীদের কথা মতোই বাংলার রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অনুব্রত? কেষ্টর গুরুত্ব কী সত্যিই কমছে? এই নিয়ে কিন্তু বর্তমানে তৃণমূলের অন্দরেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজ্য মন্ত্রিসভায় ‘বড়সড়’ রদবদল মমতার! কার দায়িত্ব গেল, আর কে বেশি পেল?
যদিও কেষ্ট ঘনিষ্ঠ জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি বিকাশ রায়ের প্রসঙ্গে কাজল শেখ পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেন, তিনি আমাদের সাথেই দলের অভিভাবক হিসেবে থাকবেন। তার দেখানো পথই অনুসরণ করে চলা হবে। তিনি আরও বলেন, এত দিন কেষ্ট অনুগামীরা ভালো কাজ করে এসেছেন, আগামীতেও করবেন। তবে জেলা পরিষদে কিছুটা পরিবর্তন এলে নতুন মুখ আসলে নতুনভাবে পরিচালিত হবে। যদিও তারা পুরাতনদের দেখানো পথেই হাঁটবেন।