বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠন মজবুত করার কাজে নেমে পড়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। শুক্রবার দলের জেলা সভাপতি ও চেয়ারপার্সনদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, জেলা সভাপতি পদ হারিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। শুধু তাই নয়! বীরভূমে ওই পদই তুলে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। জেলায় সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৯ সদস্যের কোর কমিটিকে। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন কাজল শেখ (Kajal Sheikh)।
জেলা সভাপতি না হলেও, কোর কমিটিতে রয়েছেন কেষ্ট (Anubrata Mondal)
বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত-কাজলের ‘সমীকরণে’র কথা কারোর অজানা নয়। একাধিকবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে দুই গোষ্ঠীর ‘দ্বন্দ্বে’র কথা। অনুব্রতর পদ চলে যাওয়ার পর সেই নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি কাজল।
কেষ্ট প্রসঙ্গে এই তৃণমূল (TMC) নেতা বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। কোর কমিটির ওপর আস্থা রাখা হয়েছে। ১১টি বিধানসভার মধ্যে ১১টিতেই বিপুলভাবে জয়লাভ হবে’।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষকদের পাশে স্কুল পড়ুয়ারা! আজ বড় কর্মসূচির ডাক SSC কাণ্ডে চাকরিহারাদের
কোর কমিটির হাতে বীরভূমের সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, ‘কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন কোর কমিটি বীরভূম জেলা পরিচালনা করবে। আমাদের কাছে এটা প্রত্যাশিত ছিল, সেটাই হয়েছে। আমি তাঁদের নতমস্তকে প্রণাম জানাই। একুশের ভোট, তেইশের ভোট, চব্বিশের ভোট খুব ভালোভাবে পার করেছে কোর কমিটি। আগের থেকে ভালো ফলাফল করেছে’।
দলের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেওয়ার কথা বলেছেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। তিনি স্পষ্ট জানান, ‘এটা দলীয় সিদ্ধান্ত’। অন্যদিকে বীরভূমে জেলা সভাপতি পদ তুলে দিলেও দলের চেয়ারপার্সন পদ এখনও অক্ষুণ্ণই রয়েছে। রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাঁধে সেই দায়িত্ব রয়েছে।
আশিস এই বিষয়ে বলেন, ‘দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার ওপর আস্থা রাখায় আমি কৃতজ্ঞ’। তবে অনুব্রতর জেলা সভাপতি পদ চলে যাওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পর কোর কমিটি তৈরি করে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেষ্টর অনুপস্থিতিতে চব্বিশের লোকসভা ভোটে জেলার দু’টি আসনেই জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। এবার সেই কোর কমিটির হাতেই জেলায় দলের সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলা সভাপতি পদ হারালেও ৯ সদস্যের ওই কমিটিতে রয়েছেন অনুব্রত।