বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় তৃণমূল নেতাদের মধ্যে সর্বদা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন, এমন কোন ব্যক্তির নাম বলতে গেলে প্রথমেই আসে বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম। কখনো ‘খেলা হবে’, আবার কখনো ‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে’ ইত্যাদি হুঙ্কার দেওয়ার মাধ্যমে সর্বদাই খবরের শিরোনামে থাকেন কেষ্ট তথা অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানেও প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে অসুস্থতা নিয়ে তাঁর ভর্তি থাকাকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের একের পর এক আক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। অবশেষে প্রায় 15 দিন পর এদিন হাসপাতাল থেকে বাইরে বেরোলেন অনুব্রত।
প্রায় 15 দিন পর বুধবার অবশেষে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে বের হতে দেখা গেল। সূত্রের খবর, এদিন তৃণমূল নেতার সিটি এনজিওগ্রাম করানোর উদ্দেশ্যে ভবানীপুরের রামরিকদাস হরলালকা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরবর্তীতে আবারও তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়।
হাসপাতাল জানিয়েছে, বর্তমানে চিকিৎসা চললেও অনুব্রত মণ্ডলের বুকে ব্যথা কমার কোন লক্ষনই নেই। সেই কারণেই এদিন তাঁর এনজিওগ্রাম করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং পরীক্ষা করানোর জন্য রামরিকদাস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা শেষ করে তাঁকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয় উডবার্ন ওয়ার্ডে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা সিবিআই দপ্তর থেকে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়ার পরেই তিনি বীরভূম থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর সিবিআই দপ্তর-এ না গিয়ে শারীরিক অসুস্থতার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ফলে সিবিআই এর হাত থেকে বাঁচার জন্য শারীরিক অসুস্থতার বাহানা দিচ্ছেন, এমন অভিযোগে তৃণমূল নেতাকে বিদ্ধ করতে থাকে বিরোধীরা।
তবে তারই মাঝে, ইকো রিপোর্টে তাঁর হার্টে বেশ কিছু সমস্যা দেখা যায়।ভালভ ও হৃদপেশীর সমস্যার পাশাপাশি স্থূলতা জনিত অসুখেও ভোগেন তিনি। এরপরেই, অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরীক্ষার পর তাঁর দুই অণ্ডকোষে ধরা পড়ে সমস্যা। এরপর তৃণমূল নেতার চিকিৎসায় সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে প্রায় দু সপ্তাহ কেটে গেলেও শেষপর্যন্ত কবে অনুব্রত ছাড়া বাড়ি ফিরতে পারবেন, সে বিষয়ে এখনো জানা যায়নি।