বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রাণখোলা মানুষ অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। হাসি হাসি মুখের মানুষটার যেকোনো বিষয়ে উদ্যম দেখার মতো। অভিনয় থেকে শুরু করে নাচ, অপরাজিতা যাতেই হাত দেন তাতেই তাঁর গুণ ছলকে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে অভিনয়ের দুনিয়ায় রয়েছেন অপরাজিতা। টলিপাড়া থেকে টেলিপাড়া দুদিকেই কাজ করেছেন তিনি। এমনকি টলিউডের অন্ধকারের দিকের সঙ্গেও পরিচয় হয়েছে তাঁর।
বেশ কয়েক বছর আগে জি বাংলার জনপ্রিয় টিভি শো ‘অপুর সংসার’এ এসেছিলেন অপরাজিতা। সেখানে তিনি বলেছিলেন, বডি শেমিং করা হয়েছিল তাঁকে। ভারী চেহারা নিয়ে বক্রোক্তি শুনেছেন তিনি। অভিনয় নয়, বিচার করা হয়েছিল তাঁর বাহ্যিক রূপ দিয়ে। এমনকি ইন্ডাস্ট্রির কয়েকজন নায়কদের কাছ থেকে এও শুনতে হয়েছিল তাঁকে যে আর কয়েকদিন পর শুধু মায়ের চরিত্র পাবেন অপরাজিতা।
কেরিয়ারের শুরুর দিকে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তখনি ইন্ডাস্ট্রির অন্ধকার দিকের সঙ্গেও তাঁর পরিচয় হয়েছিল। সবাইকে চমকে দিয়ে অপরাজিতা জানিয়েছিলেন, তিনিও কুপ্রস্তাব পেয়েছেন প্রযোজকদের কাছ থেকে। একবার এক প্রযোজকের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি তাঁর কাছে শর্ত রাখেন, ছবিতে তিনিই অভিনয় করবেন। তবে প্রযোজকের সঙ্গে একান্তে দেখা করতে হবে তাঁকে।
টিভি শো তে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তখনি বড়পর্দা থেকে ছোটপর্দায় চলে আসেন তিনি। টেলিভিশন দুনিয়া থেকে কখনো এ ধরনের কুপ্রস্তাব পেতে হয়নি তাঁকে। অবশ্য সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন অপরাজিতা। ছোটপর্দার পরিচালক প্রযোজকদের ছবিতেই বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
https://www.facebook.com/sanagg01/videos/405253607888821/
অপরাজিতা জানিয়েছিলেন, শিবপ্রসাদ ও নন্দিতা জুটির ‘বেলাশুরু’ ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল না তাঁর প্রথমে। কারণ তখন তিনি সিরিয়াল নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। শেষমেষ প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরীর কথায় রাজি হন অপরাজিতা। প্রযোজকের ভবিষ্যৎবাণীর মতোই সুপারহিট হয়েছিল ছবিটি।