বাংলাহান্ট ডেস্ক: বড়পর্দা, ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। সিরিয়াল হোক বা সিনেমা নিজের অভিনয় দিয়ে বারবার দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। তাঁর প্রাণখোলা মেজাজের ভক্ত অগুন্তি। কিন্তু জীবনে বিরাট একটা আক্ষেপ থেকে গিয়েছে অপরাজিতার। এমন মিষ্টি মানুষটার হাসির আড়ালেও যে এত কষ্ট লোকানো ছিল তা কে জানত!
রবিবার ফাদার্স ডের দিনে মন ভার ‘লক্ষ্মী কাকিমা’র। জমাট বাঁধা কষ্টটা বেরিয়ে এসেছে লেখনীর মাধ্যমে। তিনি জানিয়েছেন, জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষের চলে যাওয়ার কথা। তিনি অভিনেত্রীর বাবা। খুব তাড়াতাড়ি বাবাকে হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
তখন অপরাজিতার বয়স মাত্র ১৫। মাধ্যমিক পরীক্ষার মাত্র কয়েকদিন আগেই বাবাকে হারিয়েছিলেন তিনি। প্রস্টেটে সমস্যা ধরা পড়েছিল অভিনেত্রীর বাবার। অস্ত্রোপচার হলেও তা সফল হয়নি। অপরাজিতা লিখেছেন, তিনি যখন বাবাকে শেষবার দেখতে যান তখন মেয়ের হাত ধরে তিনি বলেছিলেন, যাই হয়ে যাক না কেন মাধ্যমিকটা যেন তিনি দেন।
বাবার কথা রেখেছিলেন অপরাজিতা। সদ্য পিতৃহারা হয়ে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। ৫ বছরের জন্মদিনে বাবার কোলে উঠে ছবি তুলেছিলেন ছোট্ট অপরাজিতা। বাবার সঙ্গে তাঁর ওই একটাই ছবি। সেটাই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, তিরিশ বছর আগে স্টুডিওতে গিয়ে ছবি তোলাটা তাঁদের মতো পরিবারে ছিল বিলাসিতা। তাই আর তোলাও হয়নি।
https://www.instagram.com/p/Ce-0K0zPykq/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
অপরাজিতা লিখেছেন, অনেক কিছু ভেবে রেখেছিলেন তিনি। বড় হয়ে যখন সাফল্য পাবেন তখন বাবাকে নিয়ে মঞ্চে উঠে পুরস্কার নেবেন। প্রথম গাড়ি কিনে বাবাকে নিয়ে ঘুরতে যাবেন, প্রথম এসি কিনে দেবেন। সবই হয়েছে, কিন্তু বাবার জন্য কিছুই করতে পারলেন না অপরাজিতা। সবকিছুর মধ্যে একা হয়ে রয়ে গিয়েছেন তিনি।
ঈশ্বরের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন অপরাজিতা, একজন ১৫ বছরের মেয়ের সঙ্গে অন্যায় করেছেন ঈশ্বর। পরে অনেক খেলনা দিয়ে ভোলানোর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ক্ষতটা ভরেনি। কারণ অপরাজিতার কাছে তাঁর বাবা, মা এমনকি ঈশ্বরের থেকেও বড়।