জগদ্ধাত্রী পূজা শেষ আর তাই এই মুহূর্তে বেশ মন খারাপ চন্দননগর বাসীর। মাকে বিদায় জানানোর পর থেকে যেন আর কিছু ভালো লাগছে না তাদের, মন হু-হু করছে চন্দননগর বাসীর। মাকে বিদায় জানানোর পর থেকে সকলের মুখ ভার হয়ে রয়েছে, আর এই মন খারাপের দিনে চন্দননগর বাসীর জন্য একটি দুর্দান্ত খবর এল। এই খবর শোনার পড়েই কার্যত মন ভাল হয়ে গেল চন্দননগর বাসির।
চন্দননগরের ঐতিহাসিক জগদ্ধাত্রী পুজোর আলোকসজ্জা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের ঈশ্বর শচিন টেন্ডুলকার। এই কথা তিনি নিজে টুইট করে জানিয়েছেন। বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে হাজির না থেকেও বিজয়াদশমীর একটি সুন্দর আলোকসজ্জার ভিডিও পেয়েছেন শচিন তেন্ডুলকার এবং সেই ভিডিও দেখার পরে তিনি আনন্দে আপ্লুত হয়ে নিজের টুইটারে সেই ভিডিও পোস্ট করে মাস্টারব্লাস্টার লেখেন যে এমন আলোকসজ্জা তিনি কখনো দেখেন নি, এই আলোকসজ্জা দেখে তিনি মুগ্ধ হয়ে গেছেন।
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই এক অন্য মাত্রায় আলোকসজ্জা। আলোকসজ্জাতে দেশবাসীকে মুগ্ধ করে চন্দননগরবাসী। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন শুধুমাত্র চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর আলোকসজ্জা দেখার জন্য। এছাড়াও রয়েছে দশমীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের কার্নিভাল অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে একের পর এক বারোয়ারি পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করে মাতিয়ে তোলে সেই অনুষ্ঠান। আর এই আলোকসজ্জায় মন কেড়েছে কিংবদন্তি শচীন তেন্ডুলকারের। এবারের কার্নিভালে অংশ গ্রহণ করেছিল 76 টি পুজো কমিটি।
এবারে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর একটি বারোয়ারি পুজো কমিটি আলোকসজ্জার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছিল ভারতীয় বায়ুসেনাকে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল যে বায়ুসেনার একটি প্যারাশুট নামছে আর সেখান থেকে একের পর এক বায়ুসেনা বেরিয়ে আসছে। আর এই ভিডিও দেখে আপ্লুত হয়ে যান কিংবদন্তি শচীন তেন্ডুলকর। তিনি জানিয়েছেন আমরা সকলেই ভারতীয় সেনাবাহিনী কে সম্মান করি। আর এইভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী কে সম্মান জানানোর জন্য তিনি চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি গুলিকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।