বাংলা হান্ট ডেস্ক: এখনও চিনে করোনার (Corona) প্রভাব পুরোদমে বজায় রয়েছে। এদিকে, করোনা নিয়ন্ত্রণের নামে কঠোর লকডাউন সহ চিনা সরকারের বিভিন্ন নীতিতে রীতিমতো বিপর্যস্ত iPhone প্রস্তুতকারী সংস্থা Apple এখন বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, Apple-এর বিশ্বের বৃহত্তম কারখানাটি চিনেই (China) অবস্থিত। এদিকে, সেখানেই সম্প্রতি কর্মীরা লকডাউনের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক প্রতিবাদ প্রদর্শন করেছে।
এমতাবস্থায়, জানা গিয়েছে যে, Apple তার চিনে স্থিত এই প্রোডাকশন ইউনিটকে এবার চিনের বাইরে ভারত ও ভিয়েতনামের মত এশিয়ার দেশগুলিতে নিয়ে যেতে চায়। এর পাশাপাশি, তাইওয়ানের ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি ফক্সকনের ওপর নির্ভরতা কমাতে চায় কোম্পানিটি। এদিকে, Apple-এর স্থান পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে, তাইওয়ানের কোম্পানি ফক্সকনও এখন চিনের বাইরে স্থানান্তরিত হওয়ার কথা ভাবছে। মূলত, চিনে যে জায়গাটিতে Apple-এর প্রোডাকশন ইউনিটটি রয়েছে সেখানে ফক্সকনের ফ্যাসিলিটি সেন্টারও রয়েছে। এমতাবস্থায়, Apple সেখান থেকে সরে গেলে ফক্সকন সরাসরি প্রভাবিত হবে।
যদিও, Apple ঠিক কবে এবং কোথায় তার ইউনিটটি স্থানান্তরিত করবে সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, Apple-এর এই ফ্যাসিলিটি সেন্টারে প্রায় ৩,০০,০০০ কর্মী কাজ করেন। শুধু তাই নয়, iPhone Pro-এর ৮৫ শতাংশ কাজ এখানেই করা হয়। বর্তমানে, চিনে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে চলা বিভিন্ন সরকারি নীতির জেরে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার পর Apple-এর ব্যবসায় প্রভাব পড়েছে। এমনকি, কর্মীরাও কাজ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। পাশাপাশি, একাধিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের জেরে Apple এখন চিন থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়টিতে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, চিনের ঝেংঝুতে অবস্থিত Apple-এর এই প্রোডাকশন ইউনিটে কর্মীরা সম্প্রতি সহিংসভাবে প্রতিবাদ করেছিলেন। ইতিমধ্যেই সেই সম্পর্কিত ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে, বিক্ষোভকারীদের লাঠিসোটা দিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙতে ও হট্টগোল করতে দেখা গেছে। আর এই প্রতিবাদের মূল কারণ ছিল উৎপাদন কেন্দ্রে কর্মীদের সঠিকভাবে বেতন না দেওয়া এবং কঠোর কোভিড নির্দেশিকা।
এদিকে, Apple তার এই পারফরম্যান্সের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। পাশাপাশি, এটিকে একটি প্রযুক্তিগত কারণ হিসেবে দায়ী করেছে। উল্লেখ্য যে, চিনে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে একাধিক শহরে লকডাউন জারি করা হয়। যার ফলে সেখানে কঠোরভাবে কোভিড নির্দেশিকা মেনে চলতে হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে Apple-এর কারখানায় সীমিতসংখ্যক কর্মী কাজ করছিলেন।