Apple নাকি Samsung? কার ফোন সবথেকে বেশি এগিয়ে? সামনে এল অবাক করা তথ্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সমগ্ৰ বিশ্বজুড়েই টেকপ্রেমীদের মধ্যে দু’টি পছন্দের ব্র্যান্ড হল Samsung এবং Apple (Samsung-Apple)। এই সংস্থাগুলির ডিভাইস তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে সর্বত্র। পাশাপাশি, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এবং গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে একের পর এক দুর্ধর্ষ ডিভাইস বাজারে আনছে সংস্থাগুলি।

এমতাবস্থায়, Samsung এবং Apple-এর মধ্যে সবসময়ই একটা কড়া টক্কর চলে। পাশাপাশি, শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বেই তাদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা দেখা যায়। উভয়েই আরও বেশি ফোন বিক্রি করার লক্ষ্যে ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে কোনো খামতিই রাখে না।

তবে, এবার একটি বড়সড় তথ্য সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার Apple-কে টেক্কা দিয়েছে Samsung। শুধু তাই নয়, সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, আমেরিকানরা Apple-এর চেয়ে Samsung-কেই বেশি পছন্দ করেন। বর্তমান প্রতিবেদনে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।

Apple-এর চেয়ে এগিয়ে Samsung: মূলত, সম্প্রতি Axios Harris Poll একটি সার্ভে করেছিল। যেখানে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, Samsung আমেরিকানদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসেবে Apple-কেও ছাড়িয়ে গেছে। জানিয়ে রাখি যে, এই সার্ভেটি গত মে মাসে সম্পন্ন হয়েছিল। যেখানে তারা আমেরিকানদের তাঁদের ডিভাইসের কোয়ালিটি, ভ্যালু, গ্রাহক পরিষেবা সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের প্রিয় ব্র্যান্ডগুলিকে রেট দিতে বলে। সেক্ষেত্রে Samsung-এর সামগ্রিক স্কোর ছিল ৮৪.৬। অপরদিকে, Apple-এর সামগ্রিক স্কোর হল ৮৩.০।

প্রথমবার পিছিয়ে গেল Apple: উল্লেখ্য যে, এই প্রথমবারের মতো সার্ভেতে Apple-কে পেছনে ফেলেছে Samsung। জানিয়ে রাখি যে, ২০২২ সালে, এই সার্ভেতে শীর্ষে ছিল Apple। মূলত, Apple-এর তুলনায় Samsung একাধিক পণ্য এবং ফোন উপলব্ধ করে।

samsungvsapple 1640761438

শুধু তাই নয়, Samsung টিভি ছাড়াও একাধিক হোম অ্যাপ্লায়েন্স লঞ্চ করেছে। যেখানে Apple প্রধানত স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারেই নিজেদের লক্ষ্য স্থির রেখেছে। যদিও, স্মার্টফোনের বাজার এখনও Samsung-এর ব্যবসার একটি প্রধান অংশ হয়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানির গ্যালাক্সি মডেলের ফোন বিশ্বজুড়ে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর