বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের মুখে দলবদলের ধারা অব্যাহত। শুক্রবার সন্ধ্যায় যেমন শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) হাত ধরে প্রায় ২৫০ তৃণমূল কর্মী ‘ফুলবদল’ করলেন। গতকাল নৈহাটির সিং ভবনে এক দলীয় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার হাত থেকে গেরুয়া পতাকা তুলে নেন তৃণমূল কর্মীরা।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) ব্যারাকপুর কেন্দ্রের দিকে নজর রয়েছে অনেকের। এই কেন্দ্রে দাঁড়াতে না পেরে ফের বিজেপিতে যোগদান করেছেন বিদায়ী সাংসদ অর্জুন সিং। বিজেপির (BJP) তরফ থেকে আবারও তাঁকে ব্যারাকপুরের টিকিট দেওয়া হয়েছে। গতকাল আয়োজিত দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অর্জুনও। একসঙ্গে প্রায় ২৫০ তৃণমূল (TMC) কর্মী বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় গেরুয়া শিবিরের শক্তি বৃদ্ধি হবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
গতকাল শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ব্যারাকপুর (Barrackpore) ১ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি রানা দাশগুপ্ত। ভোটের মুখে একত্রে এত কর্মী দল ছাড়ায় রাজ্যের শাসক দল চাপে পড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ মাঝরাতে মহিলাদের বাড়ি গিয়ে অত্যাচার! ওরা ইজ্জত বাঁচাবে না? NIA পেটানোর সাফাই মমতার
প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ ব্রিগেডে আয়োজিত জনগর্জন সভা থেকে ৪২টি লোকসভা আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে টিকিট দিয়েছে জোড়াফুল শিবির। এদিকে টিকিট না পেয়ে বেজায় ক্ষেপে যান গতবারের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)।
তৃণমূল ‘ধোঁকা’ দেওয়ায় ফের বিজেপিতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন জগদ্দল-ব্যারাকপুরের এই হেভিওয়েট নেতা। বাংলার রাজনীতিতে ‘বাহুবলী’ তকমা পাওয়া নেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অর্জুন। নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি দলে যোগ দেওয়ায় গেরুয়া শিবিরের শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
গতকাল তৃণমূল থেকে প্রায় ২৫০ কর্মী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর অর্জুন সিং বলেন, ‘এখানে (ব্যারাকপুর) তৃণমূলের ৯০% লোক আর ওই দলে নেই…। তৃণমূলের ভাঙন সবে শুরু, ভবিষ্যতে তৃণমূল করার মতো লোক থাকবে না’। পদ্ম-প্রার্থীর দাবি, তৃণমূলের পাশাপাশি অন্যান্য বহু রাজনৈতিক দলের কর্মীরা এদিন গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। আগামী দিনে তাঁদের নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করা হবে বলে জানান অর্জুন।