বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশের অন্যতম পুরনো পাহাড়ি এলাকা আরাবল্লী এখন বড় বিপদের মুখে। বেআইনি খননের অভিযোগে এই পাহাড় ধ্বংসের আশঙ্কা বাড়ছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক, পরিবেশবিদদের প্রতিবাদ আর আদালতের (Supreme Court) হস্তক্ষেপ, সব মিলিয়ে আরাবল্লী এখন দেশের অন্যতম আলোচিত পরিবেশ ইস্যু।
সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আরাবল্লী মামলা
আরাবল্লী পর্বতে বেআইনি খনন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়েছে। আগামী সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। একই সঙ্গে বন সংরক্ষণ আধিকারিক আর পি বালওয়ানও এই বিষয়ে আলাদা একটি পিটিশন জমা দিয়েছেন।
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে বিতর্কের শুরু
গত ২০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের প্রস্তাবিত আরাবল্লীর সংজ্ঞা মেনে নেয়। কেন্দ্র জানায়, ১০০ মিটারের বেশি উঁচু পাহাড়কেই আরাবল্লী হিসেবে ধরা হবে। তার থেকে কম উচ্চতার পাহাড় আরাবল্লীর আওতায় পড়বে না।
কেন আপত্তি উঠল?
এই সিদ্ধান্তের পরেই পরিবেশবিদ এবং রাজনৈতিক মহল প্রতিবাদে সরব হন। কারণ, আরাবল্লী পর্বতমালার প্রায় ৯০ শতাংশ পাহাড়ের উচ্চতা ১০০ মিটারের কম। তাঁদের আশঙ্কা, এতে আরাবল্লীর বড় অংশ আইনি সুরক্ষা হারাবে এবং খননের পথ আরও খুলে যাবে।
সুপ্রিম কোর্টের আগের নির্দেশ
বিচারপতি বি আর গভাইয়ের বেঞ্চ কেন্দ্রের প্রস্তাব গ্রহণের পাশাপাশি নির্দেশ দেয়, আরাবল্লীতে খনন হলে তা যেন নিয়ন্ত্রিত ও স্থিতিশীলভাবে হয়। সেই জন্য একটি নির্দিষ্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান তৈরির কথাও বলা হয়। বিতর্ক বাড়তেই চলতি সপ্তাহের বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক জানায়, দিল্লি থেকে গুজরাট পর্যন্ত পুরো আরাবল্লী রেঞ্জে নতুন করে কোনও খননের অনুমতি দেওয়া হবে না।
কোথায় খনন একেবারে বন্ধ হবে?
এছাড়াও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ফরেস্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আরাবল্লীর এমন সব এলাকা চিহ্নিত করতে যেখানে খনন পুরোপুরি বন্ধ রাখা দরকার। পরিবেশগত ও ভূতাত্ত্বিক দিক খতিয়ে দেখেই এই অঞ্চলগুলি ঠিক করা হবে।

আরও পড়ুনঃ দিঘার পর এবার নিউটাউন, দুর্গাঙ্গন তৈরির পথে আরও একধাপ এগোলো রাজ্য, সোমবার ভিতপুজো
আরাবল্লী সংক্রান্ত এই মামলা ঘিরে পরিবেশ সংরক্ষণ ও আদালতের ভূমিকা আবার আলোচনায় এসেছে। পরিবেশ রক্ষার মামলাগুলির প্রেক্ষাপটও নতুন করে গুরুত্ব পাচ্ছে। এখন সব নজর সোমবারের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) শুনানির দিকে।












