বাংলা হান্ট ডেস্ক : মন্দিরের জায়গাতেই কি জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) তৈরি হয়েছে? মসজিদ চত্বরের অজুখানায় কি মিলেছে শিবলিঙ্গ? জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে যাবতীয় বিতর্কের সমাধান হবে অর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার মাধ্যমেই। তথাকথিত মসজিদ চত্বরে এআইএসআই-এর বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার উপর জারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট।
হিন্দুত্ববাদীদের দীর্ঘদিনের দাবি, সুলতানি এবং মোগল আমলে কাশীর আদি বিশ্বনাথ মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ। মসজিদের গায়ে এখনও হিন্দুদের বহু নিদর্শন রয়ে গিয়েছে। মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূলের ছাপ-সহ হিন্দু ধর্মের বহু নিদর্শন আছে।
এমনকী, মসজিদের ওজুখানায় একটি শিবলিঙ্গ আছে বলেও দাবি হিন্দুত্ববাদীদের। বাবরির মতো জ্ঞানবাপী নিয়েও এই মুহূর্তে চূড়ান্ত আইনি টানাপোড়েন চলছে। মামলাকারী চার মহিলার দাবি, একমাত্র বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার মাধ্যমেই সঠিক তথ্য উদঘটন সম্ভব।
এই সংক্রান্ত একটি মামলায় গত ২১ জুলাই বারাণসীর (Varanasi) জেলা আদালত জানিয়ে দেয়, মসজিদের ওজুখানায় থাকা ‘শিবলিঙ্গ’ বাদে বাকি অঞ্চলের ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ করবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। সেই নির্দেশ মেনে রায়দানের মাত্র দু’দিন পরেই শুরু হয় সমীক্ষার কাজ।
যার প্রতিবাদ করে মসজিদ কমিটি এলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার শুনানির পরে এলাহাবাদ হাই কোর্ট (Allahabad High Court) জানায়, ৩ আগস্ট অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মসজিদ চত্বরে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করা যাবে না।
কিন্তু বৃহস্পতিবার এলাহাবাদ হাই কোর্ট (Allahabad High Court) মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিল, জ্ঞানবাপীতে এএসআই-এর সমীক্ষা চলবে। বারাণসীর জেলা আদালত বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার পিছনে উপযুক্ত যুক্তি দিয়েছে। সুবিচারের স্বার্থে জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষার প্রয়োজন বলে মনে করছে এলাহাবাদ হাই কোর্ট।