বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আবারও একবার বিশ্বকাপের রাতে মেসি ম্যাজিকের অপেক্ষায় আপামর ফুটবলবিশ্ব। ডাচ ডিফেন্সের বিরুদ্ধে গোল পেতে গেলে দলে প্রয়োজন বিশেষ কিছুর। মেসি সেই দক্ষতা ভালোভাবেই রাখেন। ভার্জিল ভ্যান ডাইক, ন্যাথান একে-দের দিয়ে সমৃদ্ধ নেদারল্যান্ডস ডিফেন্স মেসির সঙ্গে বাকি আর্জেন্টাইন আক্রমণ ভাগের কানেকশন কাটতে পারবেন কি না সেই ব্যাপারের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।
এবারের গোটা টুর্নামেন্টের ডাকরা লুই ভ্যান গালের কোচিংয়ে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেছে। প্রতিআক্রমণই তাদের প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার মূল অস্ত্র। তিন সেন্টার ব্যাকের সঙ্গে ব্যবধানে কম রেখে মিডফিল্ডার হিসাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন ডি রুন এবং ডি জং। আজ হয়তো তাদের দুজনের মধ্যে একজনের ওপর দায়িত্ব থাকবে মেসিকে চোখে চোখে রাখার।
সঠিক পরিকল্পনা অবলম্বন করলে যে মেসিকে আটকে রাখা যায় সেটা গ্রূপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরব প্রমাণ করেছিল। মেক্সিকো আছে মেসি অসাধারণ গোল করলেও বাকি সময়ে খুব একটা বিপদজ্জনক হয়ে উঠতে পারেননি। কিন্তু পোল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মেসি বল পায়ে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি করেছেন বিপক্ষ ডিফেন্সের হৃদয়ে।
ম্যাচে যদি আর্জেন্টিনা প্রথম গোল তুলে নিতে পারে তাহলে মেসি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। কারণ সেক্ষেত্রে বিপক্ষ দল মেসিকে নজরে রাখার বদলে নিজেরা কি করে সভ্যতায় ফিরবে সেই নিয়ে চিন্তিত থাকে বেশি। সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন জুলিয়ান আলভারেজের মত তরুণ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। মেসিকে স্বাধীনভাবে খেলতে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা থাকবে আর্জেন্টিনার ২ মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্ডেজ এবং ম্যাক অ্যালিস্টারের ওপর।
আজকের ম্যাচে দুই কোচ লুই ভ্যান গাল এবং লিওনেল স্কালোনির মস্তিষ্কেরও লড়াই বটে। আর্জেন্টাইন কোচ নিজের দলকে এমন ভাবে তৈরি করেছেন যে তাদের বিরুদ্ধে একবার পিছিয়ে পড়লে ম্যাচে ফেরা প্রায় অসম্ভবের সামিল হয়ে যায়। ডাচ কোচও আগে নিজেদের ডিফেন্সকে সঙ্ঘবদ্ধ রেখে তবে বিপক্ষের ডিফেন্সে চাপ বাড়ানোর ধারণায় বিশ্বাসী। আজকের এই মেগা কোয়ার্টার ফাইনালে দুই চাণক্যের তরফ থেকে আলাদা কিছু পরিকল্পনা দেখা যায় কিনা সেই দিকেও নজর থাকবে গোটা ফুটবল বিশ্বের। দুই দলের শেষ সাক্ষাৎ ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেমিতে। সেই ম্যাচ অমীমাংসিত থাকলেও পেনাল্টি শুট আউটে জয় পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। আজ সেই ইতিহাস বদলাবে, নাকি আবারও একবার লা অ্যালবিসেলেস্তেরাই বাজি মারবে সেদিকে তাকিয়ে ফুটবল বিশ্ব।