ডাচদের স্বপ্নের প্রত্যাবর্তনকে রুখে দিলেন এমি মার্টিনেজ, সেমিফাইনালে উঠলো মেসির আর্জেন্টিনা

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ব্রাজিলের বিদায়ের পর অনেকেই এই নিয়ে চিন্তায় ছিলেন যে আর্জেন্টিনা যেন সেই একই পথ না অনুসরণ করে। ম্যাচে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরিও হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত যে আর্জেন্টিনা জিতলো তার দুটি কারণ, প্রথমটা হলো লিওলেন মেসি, দ্বিতীয়টা আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। মেসি গোল করালেন, গোল করলেন, পেনাল্টি শ্যুট আউটেও অনবদ্য শট নিলেন এবং এমি নিজেকে প্রমাণ করলেন টাইব্রেকারে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে আর্জেন্টিনাকে তুলে নিয়ে গেলেন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে।

প্রথমার্ধের শুরুর দিকে মেসি বলও ধরেননি খুব বেশি। কিন্তু ৩৫ মিনিট নাগাদ বল ধরে নিখুঁত একটি টার্ন, ছন্নছাড়া হয়ে গেল ডাচ ডিফেন্স। তারপর অসাধারণ একটি বল বাড়ালেন সতীর্থ মোলিনার উদ্দেশ্যে। বল ধরার পর মোলিনার কাজ ছিল শুধুমাত্র ডাচ গোলরক্ষককে পরাস্ত করা। নিখুঁতভাবে সেই কাজটা করলেন তিনি। প্রথমার্ধেই লিড পেয়ে গেল আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয়ার্ধেও খেলার দখল ছিল আর্জেন্টিনার হাতেই। ডাচ আক্রমণভাগ ছিল সম্পূর্ণ পরিকল্পনাহীন। কোনও সুযোগই তৈরি হচ্ছিল না। তারমধ্যে ৭০ মিনিট নাগাদ আর্জেন্টিনার অ্যাকুনাকে পেনাল্টি বক্সের ভেতরে ফাউল করেন ডামফ্রিস। সমতা ফেরাতে ভুল করেননি লিও মেসি। চলতি বিশ্বকাপে এটি ছিল তার চতুর্থ গোল। ১০ গোল করে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ স্কোরার বাতিস্তুতার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন তিনি।

কিন্তু এরপর নাটক আরম্ভ হয়। পরিবর্ত হিসাবে নামা ডাচ ফুটবলার ভিগহর্স্ট ৮৩ মিনিট নাগাদ একটি গোল শোধ করেন এবং নেদারল্যান্ডস চাপ বাড়ায়। খেলার মাঠ যেন যুদ্ধক্ষেত্রের রূপ নেয়। রেফারিকে একাধিকবার পকেট থেকে হলুদ কার্ড বার করতে হয়। তারই মধ্যে নেদারল্যান্ডস দল ম্যাচের শেষ লগ্নে ফ্রি কিক থেকে আর্জেন্টাইন ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে সেই ভিগহর্স্টের পা থেকেই সমতায় ফেরে।

এরফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখান থেকে ফলাফল না আসলে শুরু হয় টাইব্রেকার। ২০২১ কোপা আমেরিকার স্মৃতি ফিরিয়ে ফের একবার আর্জেন্টিনার নায়ক হয়ে ওঠেন গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজ। এনজো ফার্নান্দেজ বাদে আর্জেন্টিনার বাকি সকলেই বল জালে জড়ায়। সেইসঙ্গে দুটি অনবদ্য পেনাল্টি সেভ করে নায়ক হয়ে যায় এমি মার্টিনেজ। সেমিফাইনালে এবার তাদের প্রতিপক্ষ ব্রাজিলক ছিটকে দেওয়া ক্রোয়েশিয়া।

 

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর