কী হয় যাদবপুরের অন্দরে? স্বপ্নদীপের মৃত্যু নিয়ে বিষ্ফোরক তথ্য ফাঁস অরিত্রর

বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর (Swapnadeep Kundu) রহস্য মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজ্যে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavapur University) বাংলা নিয়ে স্নাতক পড়তে আসা প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপের দেহ উদ্ধার হয় মাত্র তিন দিন পরেই। হোস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠছে। সেইসঙ্গে এই মৃত্যুর নেপথ্যে উঠে আসছে র‌্যাগিং এর মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।

স্বপ্নদীপের মৃত্যু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে রাজ্য তথা দেশের অন্যতম নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের ভয়াবহতা। মৃত্যুর আগে বছর ১৮-র পড়ুয়ার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র ও প্রাক্তনীদের অভিজ্ঞতা ভয় ধরাচ্ছে মনে। প্রশ্ন উঠছে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা, কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে। এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন যাদবপুরের প্রাক্তন ছাত্র অভিনেতা অরিত্র দত্ত বণিক।

Aritra dutta banik opened up about jadavapur university

কলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন অরিত্র নিজেও। নিজের ছয় বছরের অভিজ্ঞতা সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় শেয়ার করতে শোনা যায় তাঁকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ফ্যাকাল্টি, কর্তৃপক্ষদের গাফিলতি, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন অরিত্র। তিনি অভিযোগ করেছেন অধ্যাপকদের সময় জ্ঞানের অভাব নিয়ে। দিনের পর দিন ক্লাস হয় না। কামাই করেন অধ্যাপকরা, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে থাকে ভুল। এমনকি অধ্যাপকদের মধ্যে কোনো যোগাযোগও নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: বলিউডে নয়া ইতিহাস, মাঝরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সব শো হাউজফুল! খেল দেখাচ্ছে ‘গদর ২’

অরিত্র প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়েও। একটি গেট নাকি গভীর রাত থেকে ভোরবেলা পর্যন্তও খোলা থাকে। বহিরাগতদের যথেচ্ছ প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। মদ ও মাদক সেবনের আড্ডাখানা হয়ে উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। মুক্তাঞ্চলের নাম করে বহিরাগতদের দৌরাত্ম্যের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ শানান অরিত্র।

আরও পড়ুন: আগে থেকেই ছিল র‌্যাগিং, এখন আরো ভয়ঙ্কর! যাদবপুরের অন্দরের কিসসা ফাঁস করলেন চিরঞ্জিত-পায়েলরা

তাঁর প্রশ্ন, এই সুযোগে যদি কোনো জঙ্গি ঢুকে আসে ক্যাম্পাসে, যদি কোনো হত্যা বা ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে তখন মুখ দেখানোর পরিস্থিতিতে থাকবে তো কর্তৃপক্ষ? তিনি আরো দাবি করেছেন, কলা বিভাগে নাকি ক্যাম্পাসিংই হয় না। ইঞ্জিনিয়ারিং এর গৌরব ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয় চলছে। শিক্ষকরা নিজেরাও র‌্যাগিং করে জেলা বা গ্রাম থেকে পড়তে আসা পড়ুয়াদের।

অরিত্র জানিয়েছেন, তিনি যেহেতু হোস্টেলে থাকতেন না তাই সেখানকার পরিস্থিতি বলতে পারবেন না। তবে কর্তৃপক্ষের অকর্মণ্যতার দিকে আঙুল তুলে গর্জে উঠেছেন তিনি ছাত্রদের জীবন নিয়ে খেলার জন্য। স্পষ্ট ভাষায় কথাগুলো তুলে ধরার জন্য অরিত্রকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

ad

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর