বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোমবারই বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার তলবে দিল্লি উড়ে যান অর্জুন সিং। রাত ৯টায় বৈঠকের কথা থাকলেও পরে পিছোয় সেই সময়। অবশেষে রাত ১০টা নাগাদ মতিলাল নেহেরু মার্গের নাড্ডার বাসভবনে প্রায় ৩০ মিনিটের কথাবার্তা সারেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও বৈঠক থেকে বেরিয়েই আবারও বিস্ফোরক দাবি করতে শোনা গেল অর্জুন সিংকে।
দিন জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর বেরিয়েই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিন সাফ জানালেন, ”আমি বিজেপিতে থাকব কি থাকব না সেই উত্তর আগামী ১৫-১৬ দিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।’ উল্লেখ্য, সোমবারের ওই বৈঠকে পাটশিল্প ছাড়াও অর্জুন সিং এর সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির বর্তমান অবস্থা নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। কিন্তু তারপরও এহেন বোমা ফাটাতে দেখা গেল অর্জুন সিংকে।
বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই অর্জুন সিংকে নিয়ে বড়সড় অস্বস্তিতে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। দলের অন্দরেই একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করে চলেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। সোমবার দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে অর্জুন সিং বলেন, ‘মুখ খুললে তো প্রকাশ্যে খুলতে হয়। দলের একজন মন্ত্রী দপ্তরের সিস্টেমে ভুল আছে, তার ব্যাপারে আমি বারবার বলছি। দলের পদমর্যাদার কোনও লোক ভুল করবে, তো বলব না?’
বিজেপির অন্দরেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল যে অর্জুন সিংকে দলে ধরে রাখতেই এই বিশেষ বৈঠকের ডাক দিয়েছেন জে পি নাড্ডা। কিন্তু অর্জুন সিংয়ের এহেন লাগাতার বিদ্রোহের জেরে কার্যতই তাঁর গতিবিধি বা পরিকল্পনা কিছুই উঠতে পারছেন না তাবড় বিজেপি নেতারাও। ব্যারাকপুরের সাংসদ আগেও একাধিকবার ‘সমস্যা সমাধান’ না হলে উলটো পথে হাঁটার হুমকি দিয়েছেন দলকে। ফলে আরও বেড়েছে তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা। এদিকের এহেন বক্তব্যের পরে যেন আরও খানিক ঘৃতাহুতি হল সেই জল্পনার আগুনে। অর্জুন সিংয়ের বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে ফেরা এখন সময়ের অপেক্ষা হলেও সব ঘাটের জল মেপেই যে পা ফেলতে চাইছেন তিনি এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের।