তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে একই মিছিলে অর্জুন সিং, জল্পনা বাড়তে পাল্টা যুক্তিও দিলেন বিজেপি সাংসদ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপি দল থেকে এক এক করে বহু নেতাদের শাসক দলে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে। রাজীব ব্যানার্জি, বাবুল সুপ্রিয়র মতো একাধিক নেতাদের তৃণমূল দলে যোগদানের ফলে বর্তমানে সাংগঠনিক দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছে বিজেপি আর এর মাঝেই বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে পুনরায় অপর এক নেতার তৃণমূল দলে যোগদানের জল্পনা ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠেছে। তিনি হলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ।

একদা তৃণমূল দল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন তিনি। এরপর থেকেই বিজেপি দলের হয় একাধিক কর্মসূচি থেকে শুরু করে লোকসভা ভোটে জয়লাভের মাধ্যমে এলাকার বুকে অর্জুনের দাপট চোখে পড়ে। তবে সম্প্রতি পাট শিল্প নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে একের পর এক আক্রমণ করে চলার মাধ্যমে শাসকদলে তাঁর প্রত্যাবর্তনের জল্পনা ক্রমশ উঠে চলছে। যদিও সেই সকল তত্ত্বকে খারিজ করে অর্জুন সিংহ দাবি করেন, “এলাকায় সাধারণ মানুষদের জন্যই আমার এই সংগ্রাম। এর সঙ্গে শাসকদলে যোগ দেওয়ার কোনো রকম সম্পর্ক নেই। পাটশিল্প ক্ষতির ফলে এলাকাবাসী একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে চলেছে, তাই আমি আন্দোলনে নেমেছি।”

তবে অর্জুন সিংহের এই বক্তব্যেও ভেজেনি চিড়ে! ফলে ‘পুনরায় একবার দিদির হাত ধরতে পারেন অর্জুন সিংহ!’ এমনই একের পর এক জল্পনা রটতে থাকে আর এদিন কাঁকিনাড়াতে এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।

এদিন কাঁকিনাড়াতে এক মিছিল উপলক্ষ্যে একসঙ্গে হাঁটতে দেখা গেল বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ এবং জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যমকে! উল্লেখ্য, শ্রী শ্রী ফক্কড়নাথ শিব মন্দিরের উদ্বোধন পূর্বে এদিন কলস যাত্রার আয়োজন করেছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ আর সেখানেই এদিন পাশাপাশি চলতে দেখা গেল অর্জুন সিংহ এবং তৃণমূলের নেতা সোমনাথকে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল নেতার সঙ্গে এদিন পুজো করতে দেখা যায় অর্জুন সিংহের পুত্র তথা বিজেপি নেতা পবন সিংহকেও।

এদিন যদিও তাদের দুজনের মধ্যে কেউই এই ঘটনাকে বিশেষ আমল দিতে চাননি। অর্জুন সিংহ এদিন বলেন, “এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আমরা প্রথম থেকেই যুক্ত রয়েছি। ভগবানের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এখানে সকলেই যোগদান করেন। রামের সেতু তৈরি করার সময় যেমন কাঠবিড়ালিও সাহায্য করেছিল, ঠিক তেমনি ভাবে ভগবানের অনুষ্ঠানে কাউকে বাধা দেওয়া যায়না। তাই এখানে সবাই শামিল হয়েছে। এর সাথে রাজনীতিকে গুলিয়ে ফেলবেন না।”

প্রায় একই মন্তব্য করতে দেখা যায় তৃণমূল নেতাকেও। তিনি বলেন, “মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আমাকে অনুষ্ঠানে শামিল হতে বলা হয়েছিল, তাই আমি এসেছিলাম। এখানে যে কেউ আসতে পারে। তবে আমার সঙ্গে কে হেঁটেছে কিংবা কে পাশে ছিল তা আমি জানিনা; এর সাথে রাজনীতির কোনরকম যোগাযোগ নেই।”


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর