বাংলাহান্ট ডেস্ক : একদিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে দলের একাধিক নাম জড়ানো আর অন্যদিকে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের কারণে চরম অস্বস্তিতে শাসক দল। তারই মাঝে অর্জুন সিং (Arjun Singh) এবার অস্বস্তি বাড়ালেন সংগঠনের। অর্জুন সিং আমডাঙার একটি সভায় বলেন, “বিরোধীরা বলছে বাবুল সুপ্রিয় মন্ত্রী ছিলেন। তৃণমূলে এসেও মন্ত্রী হয়েছেন। সব গটআপ করে দিয়েছেন দিদিমণি। আমরা এর কোনও উত্তর দিতে পারছি না।”
এদিনের সভায় ব্যারাকপুরের সাংসদ (Members of Parliament) আরো বলেন, “প্রচারে আমাদের থেকে এগিয়ে রয়েছে বিরোধীরা। আমরা এগিয়ে রয়েছি দলের নেতাদের কোণঠাসা করতে। তৃণমূল শাসক দল হওয়া সত্বেও সাগরদিঘীতে ১৭টি বুথে এজেন্ট ছিল না। কারন আমাদের ছিল ওভার কনফিডেন্স। এমনই জিতে যাব আমরা। আমরা ক্ষমতায় রয়েছি। পুলিশ আমাদের সব কথা শুনবে।”
পাশাপাশি তার আরোও সংযোজন, “বামেদেরও এই ওভার কনফিডেন্স এসেছিল ২০০৮ সালে। আমাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে আমডাঙ্গাতেও। আমরা যদি আমাদের ত্রুটি ঠিক না করি তাহলে সেই ফল ভুগতে হতে পারে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে।” এখানেই শেষ নয়, জোড়াফুলের অস্বস্তি বাড়িয়ে ব্যারাকপুরের বিধায়ক অর্জুন সিং আরোও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
বাবুল সুপ্রিয়র বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসে মন্ত্রীত্ব পাওয়া নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন অর্জুন সিং। অর্জুনের দাবি, “বিরোধীরা আমাদের থেকে এগিয়ে থেকে প্রচার করছে। বিজেপি প্রচার করছে বাবুল সুপ্রিয় বিজেপিতে মন্ত্রী ছিলেন, তৃণমূলে এসেও মন্ত্রী হয়েছে। দিদিমণি সব গটআপ করে দিয়েছেন। এইভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বিরোধীরা। অথচ আমরা সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারছি না।”
যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে অর্জুন এই বক্তব্য রাখছিলেন সেই মঞ্চেই উপস্থিত ছিলেন দমদম- ব্যারাকপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়ও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একাধিক ইস্যুতে বিরোধীদের নিশানায় রাজ্যের শাসক দল। ঠিক এই পরিস্থিতিতে যখন শাসক দলের উপর চাপ বাড়ছে ঠিক তখনই অর্জুন সিংয়ের করা মন্তব্য যে বঙ্গ রাজনীতিতে ঝড় তুলতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।