বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সিয়াচেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র। উচ্চতা ও তাপমাত্রা দুটি কারনেই এখানে তাজা শাকসব্জি পাওয়া এখানে অসম্ভব। সিয়াচেনের উচ্চতা ৫৪০০ মিটার, একই সাথে তাপমাত্রা এতটাই কম যে সাধারন শাকসব্জি থেকে জল সবই জমে বরফে পরিনত হয়।
সম্প্রতি ডিআরডিও এর সহযোগী সংস্থা ডিআইএইচআর জানিয়েছে যে ‘মাইক্রো-গ্রিন’ বা হাইড্রোপোনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা সিয়াচেনে সেনার জন্য তাজা ফল ও শাকসবজি উতপাদন করতে সক্ষম হবে। নতুন পদ্ধতিটি সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক ক্যানড খাবার গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দূর করবে এবং মাত্র ১০-১২ দিনের মধ্যে মাটি ছাড়াই বাঙ্কারের ভিতরে তাজা শাকসব্জী জন্মাতে সহায়তা করবে।
সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ডিআইএইচআর এই প্রযুক্তিটি ৬৪৮ টি পোস্টে পরীক্ষা করেছে। সেনার বাঙ্কারের ভিতরে মূলা, ফুলকপি, ব্রকোলি, বাঁধাকপি এবং শসা জাতীয় তাজা শাকসব্জী চাষ করতে পেরেছে তারা। লেহ-লাদাখের ডিআইএইচএআরের অতিরিক্ত পরিচালক ডাঃ নরেন্দ্র সিংহ বলেছেন, ডিআইএইচআর-এর বিজ্ঞানীরা কোকো পিট (নারকেল থেকে কায়ার) মাটি এবং বঙ্করের ভিতরে স্বল্প-তীব্রতার আলো ব্যবহার করে বীজ অঙ্কুরোদ্গম এর চেষ্টা করে সফল হয়েছেন। । ভারতীয় সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই ‘মাইক্রো-গ্রিন’ প্রযুক্তি ব্যবহার করার কথা ভাবছে এবং সিয়াচেন হিমবাহ বরাবর ১০০০ এরও বেশি পোস্টে হবে এই সবজি ও ফল উৎপাদন।
একই সাথে এই মাইক্রো-গ্রিন’ বা হাইড্রোপোনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের কৃষি ক্ষেত্রে আসতে পারে এক বিপ্লব। লাদাখ, কাশ্মীর, উত্তরাখন্ড, সিকিম ইত্যাদি রাজ্যের যে সমস্ত পার্বত্য অঞ্চলে কোনো রকম চাষ করা এতদিন সম্ভব ছিল না সেই সব অঞ্চল্গুলির এবার সমতলের ওপর নির্ভরতা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।