বাংলা হান্ট ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও-তে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদী হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর, নিরাপত্তা বাহিনী অনন্তনাগ জেলায় ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই প্রায় ১৭৫ জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ৪ দিন ধরে, অনন্তনাগ পুলিশ, সেনাবাহিনী, CRPF এবং অন্যান্য সংস্থার যৌথ দলগুলি জেলা জুড়ে ব্যাপকভাবে ঘেরাও এবং অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনা করছে।
পহেলগাঁও-তে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর বড় পদক্ষেপ সেনাবাহিনীর:
মূলত, সন্দেহভাজন আস্তানা এবং সেই সংক্রান্ত সহায়তা নেটওয়ার্কগুলিকে লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হয়। এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, “এই অভিযানের আওতায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।” উল্লেখ্য যে, সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে দিনরাত তল্লাশি অভিযান চলছে। সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে (Pahalgam Terror Attack) সহায়তাকারী নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলার জন্য এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৭৫ জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
জানিয়ে রাখি যে, চলতি সপ্তাহের শুরুতে, অনন্তনাগ জেলার বিখ্যাত রিসর্ট পহেলগাঁওয়ের কাছে বৈসরান ভ্যালিতে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসবাদী হামলায় (Pahalgam Terror Attack) ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশজন ছিলেন পর্যটক। এই হামলার পর, নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ভূস্বর্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ব্যাপক অভিযান শুরু করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজনদের আটক করে।
আরও পড়ুন: পহেলগাঁও-তে ঘটা জঙ্গি হামলার সাথে যোগসূত্র রয়েছে পাক ক্রিকেটার বাবর আজমের? ব্যাপারটা কী?
ইতিমধ্যেই পুলিশ জানিয়েছে যে, অনন্তনাগে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার লক্ষ্যে এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জেলা জুড়ে অতিরিক্ত মোবাইল যানবাহন চেক পয়েন্ট (MVCP) স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও, সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতি নির্মূল করতে এবং জেলাটিকে সুরক্ষিত করার জন্য, বিশেষ করে উচ্চ ঘনত্বের বনাঞ্চলে কর্ডন অ্যান্ড সার্চ অপারেশন (COSO), অ্যাম্বুশ এবং নিবিড়ভাবে টহল শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাত্তাই পাবে না পড়শি দেশ! সামরিক দিক থেকে পাকিস্তানের তুলনায় কতটা শক্তিশালী ভারত?
জানিয়ে রাখি যে, অনন্তনাগের সাথে জেলার পাহাড়ি অঞ্চলের সংযোগ থাকায় মধ্য কাশ্মীরের গান্ডারবাল জেলায়ও নিরাপত্তা বাহিনী নজরদারি বাড়িয়েছে। পুলিশের মতে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেকোনও হুমকি দূর করার জন্য, গান্ডারবাল পুলিশ সেনাবাহিনী, প্যারা, CRPF এবং সশস্ত্র সীমা বলের (SSB) সাথে আক্রমণাত্মক অবস্থান গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে সেইসব এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে যেখানে জঙ্গিদের সম্ভাব্য আশ্রয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এই অভিযানের সময়ে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালানো হচ্ছে এবং সন্দেহজনক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।