বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেখতে দেখতে সম্পন্ন হয়েছে তিনদফার ভোট। সোমবার পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ দফার নির্বাচন। এই মুহূর্তে যে যে কেন্দ্রে ভোট আসন্ন সেখানে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। এবার যেমন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের হয়ে প্রচারে বেরিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Buddhadeb Bhattacharya) নিয়ে এক বিস্ফোরক দাবি করলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas)।
একদা ‘বাম গড়’ হিসেবে পরিচিত যাদবপুরে গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের (TMC) দাপট। গতবার এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে সংসদে গিয়েছিলেন জোড়াফুল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। এবার যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে (Saayoni Ghosh) দাঁড় করিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সম্প্রতি তাঁর সমর্থনে প্রচারে বেরিয়েই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে কথা বলেন অরূপ।
যাদবপুরে একসময় বিধায়ক ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে অরূপের দাবি, তিনি এলাকার মানুষের জন্য, এলাকার জন্য কোনও কাজ করেননি। তাঁর কথায়, ’২৪ বছর এখানকার বিধায়ক ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি এই এলাকার জন্য, এখানকার মানুষের জন্য কিছু করেননি’।
আরও পড়ুনঃ BJP-র থেকে টাকা নিয়ে তৃণমূলকে হারানোর প্ল্যান কষেছেন দলেরই এই নেতা? মারাত্মক অভিযোগে তোলপাড়
এখানেই না থেমে অরূপ বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে এখানকার পুরপ্রতিনিধিও ছিলেন। তা সত্ত্বেও কোনও উন্নয়ন হয়নি। তবে মাত্র দু’বছরের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক তথা আমাদের পুরপ্রতিনিধি উন্নয়ন কাকে বলে সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব’।
এদিন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে প্রচারে বেরিয়েছিলেন সায়নী। সঙ্গে ছিলেন টালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ। যাদবপুর কেন্দ্রে জয়ের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী সায়নী। অরূপকেও এই বিষয়ে বেশ আশাবাদী শোনায়।
তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘আমি যখন থেকে যাদবপুরের দায়িত্বে রয়েছি কবীর সুমনের থেকে সুগত বসু ভোট বাড়িয়েছেন। তার চেয়ে বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। এবার গতবারের থেকেও বেশি ভোটে জয়ী হবেন সায়নী। এটায় আমাদের কোনও কৃতিত্ব নেই। সম্পূর্ণ কৃতিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওনার উন্নয়ন, মানুষের পাশে থাকা, ৬৭ টা প্রকল্প। দু’হাত তুলে মানুষ আশীর্বাদ করছেন’।