‘এখন BJP ভালো লাগছে তাই যাচ্ছি’, TMC-কে ‘ধোঁকা’ দিয়ে সপাট জবাব ‘দলবদলু’দের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যে যেন দলবদলের হিড়িক পড়েছে। দিন কয়েক আগে জোড়াফুল ছেড়ে গেরুয়া পতাকা (BJP) তুলে নেন প্রবীণ রাজনীতিক তাপস রায়। বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী আবার যোগ দিয়েছেন রাজ্যের শাসক দলে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) তৃণমূলের টিকিটে রানাঘাট থেকে লড়বেন তিনি। এবার অগুনতি তৃণমূল কর্মী দল ছাড়লেন। ভোটের আগে যোগ দিলেন পদ্ম-শিবিরে।

সম্প্রতি জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড়ালতা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫/৭৪ বুথে একটি যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে অগুনতি তৃণমূল (TMC) কর্মী গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রায় ৭০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন বলে খবর। আচমকা কেন এই দলবদলের সিদ্ধান্ত? পাওয়া যায় সেই উত্তরও।

জানা যাচ্ছে, এই যোগদান সভায় সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ধূপগুড়ি বিধানসভার বিজেপির কনভেনার চন্দন দত্ত, বিজেপি মণ্ডল সভাপতি কমলেশ সিংহ রায় প্রমুখরাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। এখন প্রশ্ন হল, নির্বাচনের (Lok Sabha Election) প্রাক্কালে কেন এতজন কর্মী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন?

আরও পড়ুনঃ ‘BJP-র হিন্দুত্ব বহিরাগত, হিন্দুধর্ম নয় ওটা’! হাবড়ায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মমতা

সদ্য তৃণমূল ছেড়ে যে সকল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছেন তাঁদের দাবি, তৃণমূলে (Trinamool Congress) থেকে কোনও সুবিধা পাননি তাঁরা। এমনকি বিপদের সময়ও পাশে দাঁড়ায়নি দল। সেই কারণে দলবদলের এই সিদ্ধান্ত। জোড়াফুল ছেড়ে এবার পদ্মফুলে যোগ দিলেন তাঁরা।

চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে দলবদল প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, ‘প্রায় ৭০ জন যোগদান করলেন। বেশিরভাগই সংখ্যালঘু। তৃণমূল কীভাবে অপশাসন করছে সকলে জানে। বগটুই, সন্দেশখালি হল এর জ্বলন্ত উদাহরণ। মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার হতে দেখেই সাধারণ মানুষ বিজেপিতে যোগদান করলেন’।

tmc party workers join bjp

অন্যদিক সদ্য তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়া মনসুর আলি বলেন, এখন বিজেপি ভালোলাগছে, সেই কারণে প্রায় ৭০ জন জোড়াফুল ছেড়ে পদ্মফুলে যোগ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘আমাদের এখন ভারতীয় জনতা পার্টি ভালোলাগছে। তাই ৭০ জন লোক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছি। জয়ন্তদার হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নিলাম’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর