বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় কোটি কোটি টাকা লুঠ হয়েছে। মরিয়া হয়ে তদন্ত করছে ইডি। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) গ্রেফতার করা হয়েছে। সংশোধনাগারে অনবরত জেরা চলছে তাঁদের। এই দুর্নীতির শিকড় কতদূর ছড়িয়েছে তাই খতিয়ে দেখতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। তদন্তে নেমে রীতিমতো অবাক ইডির (ED) আধিকারিকরা।
বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিভিন্ন সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে নাম যাদের নাম রয়েছে তারা বেশির ভাগই দিন-আনা-দিন খাওয়া গোত্রের মানুষ। তাঁদের মধ্যে কেউ দিনমজুর, কেউ বা রিক্সাচালক এবং প্রত্যেকেই অত্যন্ত দরিদ্র এবং অল্পশিক্ষিত। নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমের এমন অনেক দরিদ্র মানুষকেই নিজের বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এমন বহু মানুষের সঙ্গেই কথা বলেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। ইডির আধিকারিকরা জানান, ওই সমস্ত দিনমজুর হতদরিদ্র মানুষের দাবি, তাঁরা যে কোনও সংস্থার ডিরেক্টর, তা তাঁদের জানাই নেই। ওই সব পদের অধিকারী হিসাবে তাঁরা কখনও একটা টাকাও পাননি। শুধু কোনও এক সময়ে তাঁদের দিয়ে এক ধরনের কাগজে টিপসই করিয়ে নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রিকশাওয়ালাও রয়েছেন।
তদন্তে ইডি জানতে পেরেছে, এসএসসি দুর্নীতিতে সরকারি চাকরি বিক্রির কালো টাকা প্রায় ২০১টি ভুয়ো সংস্থায় বিনিয়োগ করে করে সাদা করা হয়। জেল হেফাজতে থাকা পার্থ-বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার কৌশলও জানতে পেরেছেন আধিকারিকরা। ভুয়ো সংস্থা মারফত শেয়ার কেনাবেচার মাধ্যমে প্রায় তিন কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে।