বাংলা হান্ট ডেস্ক : যেভাবে একের পর এক গ্রাহকদের এটিএম থেকে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে তাতেই ব্যাঙ্কে টাকা রাখতেই যেন ভয় ধরে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে এই ধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয় কিন্তু ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই শহর কলকাতার বুকে যাদবপুরে থানা এলাকায় একজন গ্রাহক নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলেই মেসেজের মাধ্যমে জানতে পারেন। পরে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
যদিও তদন্ত শুরু হয় এবং তদন্তে দিল্লির কাদের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল এর পর দেখা যায় গত সপ্তাহের শনিবার থেকে একে একে যাদবপুর থানায় গাদা গাদা এটিএম জালিয়াতির অভিযোগ পত্র জমা পড়েছে। রবি এবং সোমবার মিলিয়ে অন্তত পঁচিশ জনের টাকা খোয়া গিয়েছে, তবে দিল্লির এটিএম থেকে তোলা হচ্ছে। তবে এই ভাবে লাগাতার হারেই টাকা খোয়া যাচ্ছে কী ভাবে?
সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে একেবারে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার গোয়েন্দারা। তদন্তে নেমে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য কারণ এই ঘটনার সঙ্গে যোগ থাকার সূত্র খুঁজে পায় রোমানীয় দের। এটিএম ঘন প্রতারণার ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক রোমারিওকে গ্রেফতার করেছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার গোয়েন্দারা। ধৃতের নাম সিলভিও ফ্লোরিন স্পিরিডন।
সোমবার দিল্লির গ্রেটার কৈলাস এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও তাঁর সঙ্গে আরও দুজন ছিল কিন্তু পুলিশের নজর এড়িয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছে তারা। জানা গিয়েছে ধৃত ওই রোমানীও নাকি কৈলাস এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকত। গোয়েন্দারা গোপন সূত্রে খবর পেয়েই তাঁর উপর নজরদারি শুরু করে এবং সোমবার সকালে তাঁর আবাসন থেকে কিছু দূরেই এটিএমে টাকা তুলতে গেলে ধরা পড়তে হয় গোয়েন্দাদের হাতে।
কিন্তু এটিএমে ঢুকে সে বুঝে গিয়েছিল আগে থেকেই গোয়েন্দারা অপেক্ষা করছে তাই যেখান থেকে চটজলদি বেরিয়ে অটোতে উঠে নিজের আবাসনে পৌঁছে যায়। এরপর চিরুনি তল্লাশি করে তাঁর ফ্ল্যাটের হদিশ পায় পুলিশ তার পর তাঁকে গ্রেফতার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর কাছ থেকে স্ট্রিমিং ডিভাইসের একাধিক সরঞ্জাম ম্যাগনেটিক চিপস ব্যাটারি পিন হোল ক্যামেরা সহ একাধিক জিনিস উদ্ধার করেছে তদন্তকারী অফিসাররা।
তবে গোয়েন্দাদের অনুমান অভিযুক্তরা এমনই অত্যাধুনিক স্ক্রিমিং মেশিন ব্যবহার করেছে যেখানেই তাদের কাছে সমস্ত তথ্য কপি হয়ে যাচ্ছে আর এ ভাবেই চিপের তথ্য কপি হয়ে পরক্ষণে মধ্যেই যারা টাকা তুলেছে তাদের তিন নম্বর ওই অভিযুক্তদের হাতে চলে আসছে এবং ব্যাংক জালিয়াতির সুযোগ পাচ্ছে।