অপারেশন সিঁদুরের প্রতিশোধ নিতে জেহাদ ঘোষণা! গোপনে তথ্য পেয়ে পর্দাফাঁস আল কায়দা জঙ্গি মডিউলের

Published on:

Published on:

Arrested for declaring jihad in protest against Operation Sindoor.

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় তথ্য সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই গত বুধবার গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (ATS) জানিয়েছে যে, তারা ৪ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে একটি সন্ত্রাসবাদী মডিউলের সন্ধান পেয়েছে। যারা ভারতীয় উপমহাদেশে নিষিদ্ধ সংগঠন আল-কায়েদার (AQIS) মতাদর্শ প্রচার করছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, অন্যান্য রাজ্যের পুলিশের সহযোগিতায় পরিচালিত মাল্টি-স্টেট অভিযানে ওই ৪ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন গুজরাটের। আধিকারিক জানিয়েছেন যে, ওই ৪ জন অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) বিরুদ্ধে জেহাদ উস্কে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত ছিল।

অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) প্রতিশোধ নিতে জেহাদ ঘোষণা:

অভিযুক্তরা জেহাদি প্রচারে জড়িত ছিল: গুজরাটের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা ATS জানিয়েছে যে, তারা ৪ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে AQIS-এর সঙ্গে যুক্ত একটি সন্ত্রাসবাদী মডিউলের সন্ধান পেয়েছে। ওই ৪ জন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আল-কায়েদার জেহাদি প্রচারে জড়িত ছিল। এছাড়াও, তারা জনগণের সঙ্গে ভিডিও সহ উগ্র ও উস্কানিমূলক উপাদান ভাগ করে নেওয়ার সাথে জড়িত ছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল বিদ্রোহের মাধ্যমে ভারতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা উৎখাত করা এবং “শরিয়া” (ইসলামি আইন) আরোপ করা।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়: সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূলত, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ATS ৫ টি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের ওপর কড়া নজর রেখেছিল। অভিযুক্তরা ওই অ্যাকাউন্টগুলি চালাত। তাদের মধ্যে ২ জন গুজরাটের বাসিন্দা। গ্রেপ্তার করা সন্দেহভাজনরা হল দিল্লির বাসিন্দা মোহাম্মদ ফয়েক, উত্তরপ্রদেশের নয়ডার বাসিন্দা জিশান আলি, গুজরাটের আরাবল্লি জেলার বাসিন্দা সাইফুল্লাহ কুরেশি এবং আহমেদাবাদের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারদিন শেখ।

Arrested for declaring jihad in protest against Operation Sindoor.

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ: গুজরাট ATS-এর ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (DIG) সুনীল জোশী জানিয়েছেন যে, ৪ অভিযুক্ত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একে অপরের সংস্পর্শে এসেছিল। তদন্তে জানা গেছে যে, দিল্লির বাসিন্দা ফাইক একজন পাকিস্তানি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। এছাড়াও, ফাইক ভারতে জেহাদি কার্যকলাপ ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছিল।

আরও পড়ুন: PNB-র গ্রাহকেরা হয়ে যান সাবধান! এই কাজটি না করলেই বন্ধ হবে অ্যাকাউন্ট, সতর্কতা জারি করল ব্যাঙ্ক

অপারেশন সিঁদুরের প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা: গুজরাট ATS-এর ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (DIG) সুনীল জোশি আরও জানিয়েছেন যে, আহমেদাবাদের ফতেহওয়াড়ি এলাকায় ফারদিন শেখের বাড়িতে অভিযানের সময়ে ATS একটি তরোয়াল এবং AQIS-এর পাঠ উদ্ধার করেছে।পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া অপারেশন সিঁদুরের প্রতিশোধ হিসেবে ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদ উস্কে দিতে AQIS-এর ব্যবহার করা হয়েছিল। পুলিশ আধিকারিকদের মতে, “অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) প্রতিশোধ হিসেবে এই আল-কায়েদা মডিউল ভারতে জেহাদ উস্কে দেওয়ার কাজে নিযুক্ত ছিল।

আরও পড়ুন: বড় চমক Maruti Suzuki-র! লঞ্চ হতে চলেছে শক্তিশালী SUV, Vitara-র চেয়ে সস্তায় মিলবে দুর্ধর্ষ ফিচার্স

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত ধারা আরোপ করা হয়েছে: ভারতীয় দণ্ডবিধির বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন UAPA (সন্ত্রাসবিরোধী আইন) এবং ধারা ১১৩ (সন্ত্রাসবাদী আইন), ১৫২ (ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য এবং অখণ্ডতা বিপন্নকারী), ধারা ১৯৬ (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতাজনিত প্রচার) সম্পর্কিত অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। জানিয়ে রাখি যে, ২০২৩ সালে, আল-কায়েদা মডিউলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আহমেদাবাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৪ জন বাংলাদেশি জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।