বাংলাদেশের প্রভাবশালীদের সাথে লেনদেন শঙ্করের! দুর্নীতির টাকা গিয়েছে পড়শিদেশেও, বড় তথ্য ইডির হাতে

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সন্দেশখালি-বনগাঁ বিতর্কের মাঝেই বিষ্ফোরক তথ্য সামনে আনল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (Enforcement Directorate)। বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যের সঙ্গে বাংলাদেশী (Bangladesh) যোগসূত্র খুঁজে পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা, বাংলায় হওয়া দুর্নীতির অর্থ পৌঁছে গেছে বাংলাদেশেও। সেটা কখনও সরাসরি আবার কখনও বা ঘুরপথে।

নিয়োগ দুর্নীতি, মিড ডে মিল দুর্নীতির মাঝেই ইডির হাতে উঠে আসে রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) সংক্রান্ত নানা ধরণের তথ্য। দুর্নীতর তল খুঁজতে গিয়ে ইডি কর্তারা পৌঁছায় রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) কাছে। সেই সাথে ইডি-র জালে ধরা পড়ে বাকিববুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। এরপর বালু-বাকিবুর জুটির হাত ধরেই ইডির হাতে আসে একটার পর একটা চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মত খুলতে থাকে দুর্নীতির খতিয়ান। এরপর থেকেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বেশকিছু মানুষের উপর নজরদারি শুরু করেন তদন্তকারী কর্তারা। যার মধ্যে দু’জন হলেন শঙ্কর এবং শাহজাহান শেখ। যার মধ্যে শঙ্করকে ইতিমধ্যেই নিজের হেফাজতে নিয়েছে ইডি। ওদিকে শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে আক্রান্ত হয় খোদ ইডি কর্তারাই। তারপর থেকেই ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন শাহজাহান।

আরও পড়ুন : দুর্নীতির মামলায় ‘জিরো টলারেন্স’, ফুল অ্যাকশন মোডে ইডি ডিরেক্টর! কলকাতায় এসে দিলেন বড় বয়ান

দুর্নীতির এই মহা সমুদ্রে শঙ্কর এবং শাহজাহান সংক্রান্ত একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ইডির হাতে। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের দাবি, বিদেশে টাকা পাচার করার পেছনে শঙ্করের হাত রয়েছে। তার হাত দিয়েই টাকা পৌঁছে গেছে দুবাইতে। তবে তা সরাসরি দুবাই যায়নি। প্রথমে বাংলাদেশ এবং তারপর সেই টাকা পৌঁছেছে দুবাইতে। সেই সাথে শঙ্করের মাধ্যমে সরাসরি বাংলাদেশে অর্থ ‘পাচার’ হয়েছে বলেও সন্দেহ করছে ইডি কর্তারা।

আরও পড়ুন : আক্রান্ত ED কর্তাদের বিরুদ্ধেই FIR! এবার কলকাতা হাই কোর্টের হস্তক্ষেপ চাইল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা

যদিও পদ্মাপারে কার সাথে লেনদেন হত তার খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। আপাতত সেই সন্ধানেই ব্যস্ত রয়েছে ইডি কর্তারা। সেই সাথে ইডির দাবি, এই রাজ্যের দুর্নীতির টাকা দিয়ে প্রতিবেশী দেশে সাম্রাজ্য গড়েছেন সন্দেশখালির শাহজাহান। তিনি নামে বেনামে এই টাকা বিনিয়োগ করতেন বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে। তবে শঙ্করের যোগসূত্র কার সাথে তার সন্ধান এখনও জারি রয়েছে বলেই জানাচ্ছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর