জিনপিং-এর পেটে লাথি মারছে অরুণাচল প্রদেশবাসীরা, ৭০-৮০ শতাংশ লাভ থাকা সত্ত্বেও বর্জন করছে চীনা পণ্য

Published On:

Bangla Hunt Desk: সীমান্ত এলাকায় বাড়তে থাকা ভারত (India) চীন (China) উত্তেজনার মধ্যে এবার ভারতীয় সেনাদের পাশে দাঁড়াল অরুণাচল প্রদেশবাসীরা (Arunachal Pradesh)। LAC নিয়ে গালভান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাদের হত্যার প্রতিশোধে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল ভারতীয় নাগরিকরা। সেইমত চলছিল চীনা পণ্য বর্জনের অভিযান। এই অভিযানে অনেকটাই এগিয়ে গেল অরুণাচল প্রদেশের উচ্চ সুবানসিরি জেলার বাসিন্দারা।

চীনা পণ্য বর্জন
সীমান্ত এলাকায় চাইনিজ সেনাদের আক্রমণের পরবর্তীতে ভারতীয় নাগরিকরা চীনা পণ্য বর্জনের অভিযানে সামিল হয়েছিল। দিকে দিকে চলছিল চীনা পণ্য বর্জন এবং সর্বোপরি চীনা রাষ্ট্রপতি জিনপিং-এর কুশপুতুলিকা জ্বালানো। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল সমস্ত চীনা ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী।

চীনা পণ্য বাতিল করল অরুণাচল প্রদেশ
ইন্ডিয়া টুডের একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, অরুণাচল প্রদেশের উচ্চ সুবানসিরি জেলা চীনা সীমান্তের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় প্রতি মাসে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার চীনা সম্পদ সেখানে আসে। ব্যবসায়ীরা সেই পণ্য থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ লাভও করতে পারে। কিন্তু বর্তমান দিনে ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা কেউই চীনা পণ্য কিনতে নারাজ। সস্তায় হলেও, তারা চীনা পণ্য আর কিনবে না। প্রয়োজনে বেশি অর্থ খরচা করবে, কিন্তু চীনা পণ্য আর না।

বেশি অর্থ দিয়ে কিনছে ভারতীয় পণ্য
নিউ মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নায়ালুক দোনি জানিয়েছেন, ‘চীনা পণ্য বর্জনের এই কাজ করতে আমাদের প্রায় ২ মাস লেগে গেছে। বিগত ২ মাস ধরে গ্রাহকরা এবং ওল্ড মার্কেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন চীনা পণ্য বর্জনে সামিল হয়েছে’।

তিনি আরও জানিয়েছেন, পূর্বে চীনা পণ্য বিক্রিতে আমরা প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ লভ্যাংশ পেতাম। অ্যালকোহল, প্রসাধনী সামগ্রী, সিগারেট এবং খেলনা এই ধরনের বেশির ভাগ পণ্যই আমদানি করা চীন থেকে। কিন্তু এখন তা বর্জন করে ভারতীয় পণ্য বিক্রিতে লভ্যাংশ এসে দাঁড়িয়েছে ১০-১৫ শতাংশ। তবে আমরা এতেই খুশি। চীনা পণ্য বর্জনের ক্ষেত্রে বিক্রয়কারী এবং গ্রাহকরা বেশি অর্থ দিতেও প্রস্তুত’।

X