হিন্দু মুসলিম মরলো, পুলিশ মারা গেল, এতে কার লাভ? : কেজরিওয়াল

শনিবার থেকে অশান্তির কারনে উত্তপ্ত দিল্লি। উগ্রবাদী CAA বিরোধী কট্টরপন্থীদের রোষ থেকে বাদ যাচ্ছে না কেউই। এই অশান্তির আগুন কিভাবে কমানো সম্ভব হবে তাও এখন বলা মুশকিল। পরিস্থিতি যে দিকে আস্তে আস্তে এগোচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে যে অশান্তির আচ আস্তে আস্তে অন্য রাজ্যগুলিতেও ছড়িয়ে পরতে পারে। কিন্তু এই নিয়ে ইতিমধ্যে ততপরতা দেখিয়েছে দিল্লি প্রশাসন। CAA বিরোধীদের মূলত টার্গেট হয়ে উঠেছে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী।

আর এই হিংসা , হানাহানির ঘটনার মধ্যে নিরিহ মানুষের প্রান গেছে। দিল্লিতে হিংসার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪, জখম হয়েছেন আরও ২৫০ জন।মোট ১০৬ জনকে গ্রেফতার ও ১৮টি এফআইআর করা হয়েছে।দিল্লি হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘ এই পরিস্থিতির জন্য বহিরাগতরাই হিংসায় দায়ী ৷ দিল্লির মানুষ হিংসা চায় না ৷ এই পরিস্থিতি দিল্লির ‘আম আদমি’ সৃষ্টি করেনি ৷ কয়েকজন দুষ্কৃতী হিংসা ছড়াচ্ছে ৷arvindkejriwal 25 7হেড কনস্টেবল রতনলালের বলিদান ব্যর্থ হবে না ৷ হিংসায় সকলেরই ক্ষতি ৷ দিল্লিবাসী হিন্দু-মুসলমানরা হিংসায় দুই ধর্মের মানুষেরই মৃত্যু ৷ মানুষের মৃত্যুতে আধুনিক দিল্লি হবে না ৷ হিংসার রাজনীতি বরদাস্ত নয় ৷’ প্রথম থেকেই অশান্তি থামানো নিয়ে ততপরতা দেখিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিবাল।  বুধবার ভোররাত থেকে আবার নতুন করে ব্রহ্মপুরী-মুস্তাফাবাদে অশান্তির খবর মেলে। আবার অন্যদিকে সীলমপুর, মউজপুরে বাড়ানো  হয়েছে নিরাপত্তা। পাথর বৃষ্টি রুখতে আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চারটি এলাকায় কার্ফু জারি হয়েছে।  মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

পাশাপাশি পুলিশ, কমব্যাট ফোর্সের সঙ্গে এলাকায় টহল দিচ্ছে আধা সেনা।সবদিক দিয়েই পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার প্রচেস্টা করা হচ্ছে। আর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার রাতে সীলমপুর এলাকা ঘুরে দেখেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। নিহত হেড কনস্টেবল রতনলালের মৃত্যুতে  তার পরিবারকে ১ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি তাঁর পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ওরবিন্দ কেজরিবাল। দুখের কথা প্রকাশ করে তিনি জানান যে এসব কিছুর পেছনে বহিরাগতদের হাত আছে।


সম্পর্কিত খবর