কেন্দ্রের কাছে ভ্যাকসিনের ফর্মুলা জানতে চাইলেন অরবিন্দ কেজরীবাল, করলেন কাতর আবেদন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে লাগাতার জর্জরিত হচ্ছে ভারত বর্ষ। এই ভয়াবহ অতিমারির সংক্রমণে রোজই সংক্রমিত হচ্ছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। বেহাল পরিস্থিতি ছোট-বড় সমস্ত রাজ্যগুলিতে। এমতাবস্থায় যখন প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা, তখন একমাত্র বাঁচার উপায় যে ভ্যাকসিন এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গবেষণা জানিয়েছে, ভাইরাসের প্রায় ৮০ শতাংশ মারণ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে অ্যাস্ট্রোজেনেকার মত ভ্যাকসিন গুলি। সে কথা মাথায় রেখেই এবার কেন্দ্রের কাছে ভ্যাকসিনের ফর্মুলা শেয়ার করার কাতর আবেদন জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। দিল্লিতে এই মারণ রোগ সংক্রামক হয়ে উঠেছে বেশ কিছুদিন ধরেই।

কয়েকদিন আগে অবধি অক্সিজেনের অভাবে রীতিমতো সংকটজনক পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল দিল্লিতে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এনেও ভ্যাকসিন পাননি দেশের সমস্ত মানুষ। ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে ভ্যাকসিন প্রদান করতে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা কেন্দ্রের। ভারতে এই মুহূর্তে জনসাধারণকে দেওয়া হচ্ছে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় যোগান খুবই কম। আর সেই কারণে অনেক ক্ষেত্রে এমন অবস্থায় ঘটছে যে প্রথমবার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে সময়মত দ্বিতীয়বার ডোজ পাচ্ছেন না অনেকেই। ফলে সংক্রমিত হওয়ার আশংকা তো বাড়ছেই, বাড়ছে মৃত্যুও।

এই পরিস্থিতিতে কেজরিবাল বলেন, “মাত্র দুটি কোম্পানি ভ্যাকসিন তৈরি করছে গোটা দেশে। তাতে মাসে মাত্র ছয় থেকে সাত কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে গোটা দেশকে ভ্যাকসিন দিতে প্রায় দু বছর সময় লেগে যাবে। ততদিনে কোভিডের আরো অনেকগুলো ঢেউ চলে আসতে পারে। আর সেই কারণেই উৎপাদন বাড়ানো একান্ত জরুরী।ভ্যাকসিন তৈরীর কাজে আরো অনেক কোম্পানির হাত লাগানোর প্রয়োজন। কেন্দ্রের উচিত ওই দুই কোম্পানির থেকে ফর্মুলা নিয়ে অন্যদেরকেও দেওয়া।”

এই মর্মে দিন কয়েক আগে মোদি সরকারকে চিঠিও লিখেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে লকডাউনের সফলতার কারণে এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেও দাবি করেন তিনি। এখন শেষ পর্যন্ত তার কথায় কেন্দ্র আমল দেয় কিনা সে দিকেই নজর থাকবে সকলের। তবে এই মুহূর্তে তার দাবী যে অত্যন্ত যুক্তিসংগত তা বলাই বাহুল্য।kejri


Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর