বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বলিউড (Bollywood) অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty) এখন এনসিবির হেফাজতে আছে। ওনাকে ভায়খালা জেলে রাখা হয়েছিল। আর হেফাজতে থাকাকালীন এনসিবি রিয়া চক্রবর্তীকে প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় মাদকের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করছে। এনসিবি কয়েক ঘণ্টা ধরে রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। আর এনসিবির এই জেরায় রিয়া অনেক কিছু স্বীকারোক্তি করেছে।
মিডিয়া রিপোর্টস অনুযায়ী, এর আগে রিয়া চক্রবর্তী শুধু এটাই বলত যে, সে যা ড্রাগ কিনেছিল সেটা শুধু সুশান্ত সিং রাজপুত আর নিজের বন্ধুদের জন্য। কিন্তু এনসিবির হেফাজতে যাওয়ার পর রিয়া এটা স্বীকার করেছে যে, সে নিজেও ড্রাগ সেবন করত। অভিনেত্রী এই কথা এনসিবির ৫৫ বার প্রশ্ন করার পর স্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
সুত্র অনুযায়ী, জিজ্ঞাসাবাদে রিয়া এনসিবিকে জানায় যে, সে একজন ভালো অভিনেত্রী। তখন রিয়ার ধৈর্য্য ভাঙার জন্য এনসিবি রিয়াকে বলেন, ম্যাম আপনার কাছে এখন অভিনয় করার আর সময় নেই, তাহলে আপনি কীভাবে ভালো অভিনেত্রী হলেন? এই প্রশ্নেই রিয়ার ধৈর্য্যর বাধ ভেঙে যায় আর এজেন্সির সামনে স্বীকার করে যে, সে নিজেও ড্রাগস নিতো।
খবর অনুযায়ী, এর আগে এনসিবি রিয়াকে এও বলেছিল যে, যদি আপনি কখনো ড্রাগ সেবন না করে থাকেন, তাহলে আপনি একজন ড্রাগ প্যাডলার, যেটা আরও সঙ্গিন অপরাধ। এরপর রিয়া ধীরে ধীরে সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেই আর নিজের দোষ স্বীকার করে। সুশান্ত সিংয়ের মৃত্যুর মামলায় ড্রাগস অ্যাঙ্গেল নিয়ে তদন্ত করা এনসিবির র্যাডারে
ড্রাগস মামলায় এনসিবি যাদের গ্রেফতার করেছে, তাঁদের মধ্যে রিয়া চক্রবর্তী, শৌভিক চক্রবর্তী, দীপেশ সাওয়ান্ত, স্যামুয়েল মিরান্ডা, জেদ বিলান্না, আব্দুল ওয়াসিনের নাম যুক্ত আছে। রিয়ার বিরুদ্ধে ড্রাগস উপলব্ধ করানো, ড্রাগসের জন্য টাকা দেওয়া, সুশান্তের সাথে প্যাডলারদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া, শৌভিক, স্যামুয়েল, দীপেশকে ড্রাগসের জন্য ইনস্ট্রাকশন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনসিবি রিয়াকে গ্রেফতার করার সাথে সাথে এনডিপিএস অ্যাক্টের ২৭ (এ) ধারা লাগিয়েছে।