বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েক মাস ধরে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন- অনশনের মাঝেই সোমবার স্বস্তি জাগিয়ে প্রায় ৮ বছর পর প্রকাশ হয়েছে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের (TET Qualified ) নম্বর।
এদিন ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের নম্বরের ব্রেক আপ প্রকাশ করা হয়েছে। আর তাতেও নাকি বিভ্রাট! পূর্ণ মানের থেকে অধিক নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন বহু পরীক্ষার্থী। হ্যাঁ, ঠিক এমনই অসম্ভব হয়েছে সম্ভব।
যেখানে পূর্ণ মান ১০ সেখানে দশে দশ পেয়েছেন বহু চাকরিপ্রার্থীই। একটু খটকা লাগলেও অঙ্কের নিয়মে তা ঘটা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। তবে পূর্ণ মান যেখানে ১০, সেখানে অনেক পরীরক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ১০.৯৬০! এই নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। বিতর্কের লাইমলাইটে ফের পর্ষদ।
এই প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এমনটা হওয়ার কথা নয়। কী ভাবে এটা হল, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা।’’
দীর্ঘ ৮ বছর বহু বিতর্কের ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের নম্বর প্রকাশিত হলেও, নম্বর ভাগাভাগি নিয়েও বেঁধেছে জট। কোনোভাবেই থামছে না বিতর্ক। পর্ষদের প্রকাশ করা তালিকায় দেখা যায়, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, টেট ও প্রাথমিক প্রশিক্ষণের নম্বর মিলিয়ে যা দাঁড়ায়, এক জন চাকরিপ্রার্থী পেয়ে গিয়েছেন তার চেয়েও বেশি! পর্ষদ জানিয়েছে, নম্বর বিভাজনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য মোট ১০ নম্বর ধরা হয়েছে।
আর তাতেই দেখা যাচ্ছে, কয়েক জন পেয়েছেন দশের মধ্যে দশই। কেউ আবার পেয়েছেন দশেরও অধিক । এ বিষয় যে একেবারেই অসম্ভব তা মেনে নিয়েছে পর্ষদও। এদিন রাতেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানায়, ওই টেটের নম্বরের ক্ষেত্রে কিছু ‘ভুল’ হয়েছে। ১১ ডিসেম্বরের (নতুন টেটের দিন) তা শুধরে নেওয়া হবে। এককথায় সমস্যা যেন পিছন ছাড়ছেনা পর্যদের। ‘যত বিভ্রাট টেটেই’ , এদিন নম্বরের তালিকা প্রকাশের পর এমন কোথাও শোনা গেলো চাকরিপ্রার্থীদের মুখে।