বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ঠিক পূর্বে CAA লাগু করার কথা ঘোষণা করতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কেউ প্রধানমন্ত্রী মোদীর (Narendra Modi) জয়গান গাইছে তো কেউ আবার সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে। ঠিক যেভাবে বিক্ষোভের আঁচ দেখা গেল অসমে (Assam)। গত সোমবার CAA নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই বন্ধের ডাক দিয়েছিল ১৬টি বিরোধী দলের একটি মঞ্চ।
মঙ্গলের সকাল থেকেই ফের একবার দেখা গেল বিক্ষোভের আগুন। এইদিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় ‘হরতাল’। যদিও অসম সরকার এসব বিক্ষোভে বিশেষ কান দিতে নারাজ। বিক্ষোভ যখন তুঙ্গে ঠিক তখনই হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma) সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সিএএ নিয়ে বিরোধীতা করলে রাজনৈতিক দলগুলি স্বীকৃতি হারাতে পারে।
তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লোকসভার মুখে CAA চালু করা কি বিজেপিকে ব্যাকফুটে নিয়ে যাবে? বিশেষ করে অসমের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তার ভাঁজ ফুটেছে পদ্মবনে। যদিও হিমন্ত বিশ্বশর্মা নিজেকে নিয়ে এবং CAA নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। এইদিন বিতর্ক তুঙ্গে উঠতেই মাঠে নামেন তিনি। অসম মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভুমিপুত্রদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমি নিজেও অসমের ভুমিপুত্র। CAA-র অধীনে যদি এমন একজনও নাগরিকত্ব পায় যারা এনআরসিতে আবেদন করেনি, তাহলে আমি পদত্যাগ করব।’
আরও পড়ুন : ‘এক দেশ এক ভোট’, CAA-র পর আরেক ধামাকা, এই রাজ্যগুলিতে একযোগে লোকসভা-বিধানসভা নির্বাচন
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল বিকেলে CAA কার্যকর হওয়ার ঘোষণা হতেই দেশের নানা জায়গায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে অসমেও। অসম জাতীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট লুরিনজ্যোতি গগৈর মতে, এটি অসমের ইতিহাসের কালো দিন। তার কথায়, এই আইন সমর্থন করা মানে অসমের ভূমিপুত্রদের সাথে অন্যায় করা। আর এই কারণে অসম মুখ্যমন্ত্রীরও বিরোধীতা জারি রাখছেন তারা।
আরও পড়ুন : সুজেট কাণ্ডের স্মৃতি উস্কে গাড়িতে গণধর্ষণ তরুণীকে! খাস কলকাতায় গ্রেফতার ২ অভিযুক্ত
এখানে বলে রাখা ভালো, ইতিমধ্যেই NRC চালু করেছে অসম সরকার। যার জেরে প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষ ‘ডি ভোটার’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। যার মধ্যে ১৩ লক্ষ মানুষ বাঙালি হিন্দু। এমন পরিস্থিতিতে সিএএ লাগু হলে এই ১৩ লক্ষ মানুষ ভারতের স্থায়ী নাগরিকত্ব পাবেন বলে দাবি করছে সংশ্লিষ্ট। আর তাতেই যত আপত্তি অসমের ভূমিপুত্রদের। তাদের ভয়, এই ১৩ লক্ষ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলে তারা সেখানকার সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় হয়ে উঠবে। যেখানে ভূমিপুত্ররা সংখ্যালঘু হয়ে যাবেন। আর সেই আশঙ্কাতেই বিক্ষোভ শুরু করেছে ভূমিপুত্ররা।