বিধানসভায় কোথায় বসবেন হুমায়ুন কবীর? বড় ইঙ্গিত অধ্যক্ষের

Published on:

Published on:

Assembly Seating Issue for Humayun Kabir Speaker Explains
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর নতুন দল গঠনের ঘোষণা করেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। প্রথমে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। পরে সেই সিদ্ধান্ত বদলে জানান, তিনি আর পদত্যাগ করবেন না। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভার অধিবেশনে হুমায়ুন কবীর কোথায় বসবেন, তা নিয়ে তৈরি হয় প্রশ্ন। এ বার বিষয়টি পরিষ্কার করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল কংগ্রেস হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) দল থেকে সাসপেন্ড করলেও, এখনও পর্যন্ত সেই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক চিঠি বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে পাঠানো হয়নি। তাই নথি অনুযায়ী হুমায়ুন কবীর এখনও তৃণমূলেরই বিধায়ক। আর প্রায় পাঁচ মাস পর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে অধিবেশনে হুমায়ুন কবীর কোথায় বসবেন, এই প্রশ্নের উত্তরে অধ্যক্ষ বলেন, হুমায়ুন কবীর যদি তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন এবং তা আইনসম্মত হয়, তবে তা গ্রহণ করা হবে। তবে সংবাদমাধ্যমে তিনি দেখেছেন, হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন যে তিনি ইস্তফা দেবেন না।

বিধানসভায় কোথায় বসবেন হুমায়ুন (Humayun Kabir)?

অধ্যক্ষ আরও জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে যদি সাসপেন্ড সংক্রান্ত চিঠি আসে, তা হলে হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) তৃণমূল বা বিজেপি, কোনও দলের সদস্য হিসেবেই ধরা হবে না। সে ক্ষেত্রে তাঁকে বিধানসভায় একটি নিরপেক্ষ আসনে বসানো হবে। অর্থাৎ, তৃণমূল এবং বিজেপির মাঝামাঝি কোনও জায়গায় তিনি বসবেন।

এ দিন অধ্যক্ষ স্পষ্ট করে দেন যে, হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকেও এখনই সরানো হবে না। তিনি আগের মতোই স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। কারণ হিসেবে অধ্যক্ষ বলেন, আর কিছু মাস পরই নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচন শেষে এমনিতেই নতুন কমিটি গঠন হবে, তাই এখন কোনও পরিবর্তন করা হচ্ছে না। হুমায়ুন কবীর যদি কমিটিতে থাকতে চান, তবে তিনি থাকবেন।

Humayun Kabir Announces New Party Alliance Plan

আরও পড়ুনঃ BLO-দের জন্য ৬১ কোটি অনুমোদন নবান্নের, কত শতাংশ শেষ SIR ডিজিটাইজ়েশনের কাজ?

এদিকে, বিধানসভায় কোনও বিষয়ে ভোটাভুটি হলে হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) কোন পক্ষে ভোট দেবেন, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে অধ্যক্ষের বক্তব্য, ভোট হলে দেখা যাবে তিনি কোন দলের পক্ষে ভোট দেন।