বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি বছরের শুরুতেই বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন যে, একের পর এক প্রকান্ড গ্রহাণু ধেয়ে আসতে পারে পৃথিবীর দিকে। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করেই ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রহাণু পাশ কাটিয়েছে পৃথিবীর। এমতাবস্থায়, ফের এক বিশালাকার গ্রহাণুকে ঘিরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
এই প্রসঙ্গে NASA (National Aeronautics and Space Administration)-র সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ (CNEOS) অনুসারে জানা গিয়েছে যে, আগামী ২৭ মে পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে একটি বিশালাকার গ্রহাণু চলে যাবে। আয়তনের দিক থেকে এই গ্রহাণুটি বুর্জ খলিফার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ এবং কুতুব মিনারের চেয়ে প্রায় ২৪ গুণ বড়।
বৃহদাকার এই এই গ্রহাণুর নাম দেওয়া হয়েছে 7335 (1989 JA)। তবে, এতে ভয়ের কিছু নেই। জানা গিয়েছে এই গ্রহাণু পৃথিবী থেকে ৪ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে থাকবে। অর্থাৎ, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই দূরত্ব পৃথিবী এবং চাঁদের মধ্যেকার গড় দূরত্বের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি।
তা সত্ত্বেও, গ্রহাণুটির এই বিশাল আকার (ব্যাস ১.৮ কিমি) এবং পৃথিবী থেকে এর দূরত্বের কারণে, নাসা এটিকে “সম্ভাব্য বিপজ্জনক” হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে। এর মানে এই যে, এই গ্রহাণুর কক্ষপথ যদি কখনও পরিবর্তিত হয় তবে তা আমাদের গ্রহের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।
NASA-র মতে, 7335 (1989 JA) গ্রহাণুটি এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর কাছাকাছি আসা বৃহত্তম গ্রহাণু হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই গ্রহাণুটি ঘণ্টায় প্রায় ৭৬,০০০ কিমি গতিবেগে এগিয়ে আসছে। যদিও, এই গ্রহাণুটি ২০৫৫ সালের ২৩ জুনের আগে আর পৃথিবীর কাছাকাছি আসবেনা।
Asteroid four times the size of the Empire State Building barreling toward Earth on May 27 https://t.co/gTe42nwqPZ
— Live Science (@LiveScience) May 22, 2022
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই গ্রহাণুটি ২৯,০০০ টিরও বেশি “নিয়ার আর্থ অবজেক্ট” (NEOs)-এর মধ্যে অন্যতম একটি যা NASA প্রতি বছর ট্র্যাক করে আসছে। NASA-র মতে, NEO মানে এমন কিছু মহাজাগতিক বস্তু যা পৃথিবীর কক্ষপথের প্রায় ৪.৮ মিলিয়ন কিলোমিটারের মধ্যে আসে। এই বস্তুর বেশিরভাগই খুব ছোট হয়। যদিও, NASA জানিয়েছে 7335 (1989 JA) গ্রহাণুটি ৯৯ শতাংশ NEO-র চেয়ে অত্যন্ত বড়।