লালকেল্লা চত্বরে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১! পুড়ে ছাই একাধিক গাড়ি, ঘটনাস্থলে পৌঁছল ফরেনসিক দল

Updated on:

Updated on:

At least 9 dead in Delhi Explosion.
Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভর সন্ধ্যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দিল্লির (Delhi Explosion) লালকেল্লা চত্বর। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী বিস্ফোরণে ১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে আহত বহু। জানা গিয়েছে লালকেল্লার ঠিক সামনে, গেট নম্বর ১–এর পাশে সোমবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা প্রায় ৬টা ৫৫ মিনিট নাগাদ এই বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায় আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরও তিনটি গাড়িতে। বিস্ফোরণের জেরে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে প্রবল আতঙ্ক। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইঞ্জিন ও ১৫টি ক্যাট অ্যাম্বুল্যান্স। দমকল কর্মীদের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে।

ভর সন্ধ্যায় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দিল্লির (Delhi Explosion) লালকেল্লা চত্বর:

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে নয় জনের, যদিও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। বহু মানুষ আহত হয়েছেন, তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ এবং নাশকতা— তিনটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। লালকেল্লার মতো সংবেদনশীল এলাকায় এমন বিস্ফোরণে (Delhi Explosion) নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে বড় প্রশ্ন।

আরও পড়ুন:লালকেল্লা চত্বরে বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ৯! পুড়ে ছাই একাধিক গাড়ি, ঘটনাস্থলে পৌঁছল ফরেনসিক দল

বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্ফোরক পদার্থের নমুনা সংগ্রহ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত কোনও সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে নাশকতার আশঙ্কাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর লালকেল্লা ও আশপাশের এলাকা পুরোপুরি ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। ওই এলাকা উচ্চ নিরাপত্তা বলয়ে থাকা সত্ত্বেও এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।

এদিকে, বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগেই জম্মু ও কাশ্মীর ও হরিয়ানা পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন দুই চিকিৎসক এবং এক মহিলা চিকিৎসক। ধৃতদের জইশ-ই-মহম্মদ ও আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দের আন্তর্জাতিক জঙ্গি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগ থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তদন্তকারীরা। আর দিল্লির বিস্ফোরণকাণ্ডেও যে গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে সেই গাড়ির নম্বর প্লেটও ছিল হরিয়ানার।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চক্রের হাত দিল্লির বিস্ফোরণেও থাকতে পারে।

At least 11 dead in Delhi Explosion.

আরও পড়ুন:রাজধানীতে নাশকতার ছক? লালকেল্লার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

প্রথমে তদন্তকারীরা ৩৬০ কেজি বিস্ফোরকের হদিস পান, পরে জানা যায় মোট ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক ও চিকিৎসক ডা. মুজাম্মিল শাকিলের ভাড়া করা বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় ওই বিস্ফোরক। জানা গিয়েছে, তিনি তিন মাস আগে সেই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ডা. মুজাম্মিল, আরও এক কাশ্মীরি চিকিৎসক এবং এক ইমাম। তদন্তে উঠে এসেছে এক মহিলা চিকিৎসক শাহিনের নামও, যাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

তদন্তকারীদের ধারণা, এরা সকলে মিলে একটি বৃহৎ জঙ্গি মডিউলের অংশ, যারা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল। উদ্ধার হওয়া অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, একে-৪৭ রাইফেল, ব্যাটারি, টাইমার ও রাসায়নিক পদার্থ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে এই মডিউলের যোগসূত্র থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এই বিস্ফোরণকে সাম্প্রতিক কালের অন্যতম বড় সন্ত্রাসমূলক ঘটনা হিসেবে দেখছে।