বাংলা হান্ট ডেস্ক : তিন দল অর্থাত্ কংগ্রেস এনসিপি এবং শিবসেনা সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং তাঁদের হাতের যে মহারাষ্ট্রের রাশ উঠতে চলেছে এমনটা একেবারেই নিশ্চিত ছিল কিন্তু হঠাত্ শনিবার সাত সকালে বোমা ফাটিয়ে বিজেপির তরফে দেবেন্দ্র মুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করার পর থেকেই আর যত তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে তিন বিরোধী রাজনৈতিক দল।
ইতিমধ্যেই সকলের অজান্তেই কী ভাবে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করালেন? তা কতটা সাংবিধানিক? তা নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন তুলেছে সরোদ এবং উদ্ধার। আর এরই মধ্যেই সোমবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের পাঁচতারা হোটেলে শিবসেনা এনসিপি ও কংগ্রেসের সমস্ত বিধায়কদের ডেকে একজোট করালেন তিন দল।
বিধায়কদের একজোট করার সঙ্গে সঙ্গেই একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিলেন শরদ পাওয়ার রা। 162 জন বিধায়ককে এ দিন জমা করে কার্যত এক প্রকার শপথ বাক্য পাঠ হয়ে গেল। যদিও এ শপথ বাক্য পাঠ সম্পূর্ণ আলাদা এ হল বিজেপিকে কোণঠাসা করার এবং বিজেপির প্রলোভনে পা না দেওয়ার শপথ বাক্য। তবে এত বিধায়ক একসঙ্গে জমা হলেও যদিও আস্থা ভোট হয় তা হলে কে কার দিকে যাবে? সেই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু এখনও অধরা।
এমনিতেই নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি জানিয়েছে শিবসেনা কংগ্রেস এবং এনসিপি যদিও বিজেপি ছাড়বার পাত্র নয়, 171 বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছে বিজেপি। টিভিতে মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক ক্ষমতা পূরণের রায় দেবে তাই তার আগে সোমবার নিজেদের এক প্রকার ক্ষমতা প্রদর্শন করল এনসিপি কংগ্রেস এবং শিবসেনা। এ দিন শরদ পাওয়ার এবং উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে মল্লিকার্জুন খাড়গে দেরও দেখা যায়।
যদিও এ দিন শুধুমাত্র তিন দলের বিধায়করাই ছিলেন না নির্দল দল সমাজবাদী পার্টির বিধায়করাও উপস্থিত ছিলেন। যেহেতু উপমুখ্যমন্ত্রী পদে অজিত পাওয়ার শপথ গ্রহণ করেই ফেলেছেন তাই পাওয়ার পরিবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষেত্রেও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তাই একদিকে অজিত পাওয়ার দলে ফিরবেন এমনটাই আশা করছেন কাকা শরদ পাওয়ার কিন্তু তাতে মোটেও সায় নেই বাকি তিন দলের।
তবে এখনও আশা বুকে বেঁধে রেখে অজিত পাওয়ারকে বহিষ্কার করেননি শরদ পাওয়ার। কিন্তু তিনি যে দলে ফিরবেন এমন টাউন নিশ্চয়তা নেই, কারণ নিজে থেকে শনিবার সকালে বিজেপি কে সমর্থন করে বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে উপস্থিত ছিলেন একই সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করার পর মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা গিয়েছিল। তাই মহারাষ্ট্র সরকার গঠনে জল কোন দিকে গড়াবে? তা জানা কার্যত আর কয়েক ঘণ্টা সময়ের অপেক্ষা।