বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জলপাইগুড়ির মাটির মেয়ে, এশিয়ান গেমসের সোনাজয়ী অ্যাথলিট স্বপ্না বর্মন (Swapna Barman) এবার নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন। খেলাধুলোর মাঠ ছেড়ে এবার তাঁর নজর রাজনীতির আঙিনায়। সম্প্রতি তিনি নিজেই জানালেন যে, “২০২৬-এ সারপ্রাইজ থাকছে।” কথার মাঝেই যেন ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন যে বিধানসভা ভোটেই তাঁকে দেখা যেতে পারে প্রার্থী হিসেবে।
‘আমার কাছে অফার আছে, তবে শর্ত মানতে হবে’, জানালেন স্বপ্না (Swapna Barman)
নিজের গ্রামের বাড়ি জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের কালিয়াগঞ্জ সংলগ্ন ঢিংপাড়ায় বসেই স্বপ্না (Swapna Barman) জানালেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ মহল থেকে অফার এসেছে। তবে আমি কিছু শর্ত রেখেছি। যারা সেই শর্ত মানবে, তাদের হয়েই রাজনীতির ময়দানে নামব। প্রার্থী হতেও আপত্তি নেই।”
তাহলে কী সেই শর্ত? এর উত্তরে স্বপ্না (Swapna Barman) স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে, “আমি উত্তরবঙ্গের মেয়ে। তাই উত্তরের উন্নয়নেই আমার ‘পাখির চোখ’। সবার আগে চাই ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নয়ন। উত্তরবঙ্গে এখনও একটিও সিন্থেটিক ট্র্যাক নেই। মাঠ, ট্র্যাক না থাকলে নতুন স্বপ্না বর্মন তৈরি হবে কীভাবে?”
শুধু খেলাধুলা নয়, উত্তরবঙ্গের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্বপ্না (Swapna Barman)। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গে একটা এইমস দরকার। এখানে কর্মসংস্থানের অভাব, শিল্পের ঘাটতি। যে দল এগুলির প্রতিশ্রুতি দেবে, আমি সেই দলের সঙ্গেই থাকব।” এছাড়া নিজের গ্রাম ঢিংপাড়ার ভাঙা রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বপ্না।
নিজের প্রসঙ্গে স্বপ্ন বলেন, “আমি রেলের চাকরিতে আলিপুরদুয়ারেই কর্মরত। ছুটিতে বাড়ি এসে বাবা-মায়ের সঙ্গে ধান কাটছি। কারণ, আমি মাটির মেয়ে। সেলিব্রিটি নয়, সাধারণ মানুষ হিসেবেই থাকতে চাই।”
আলোচনার মাঝেই উঠে আসে খেলাধুলার প্রসঙ্গ। এশিয়ান গেমসে ফের দেখা তাঁকে যাবে কিনা এই প্রশ্ন উঠতে কিছুটা আক্ষেপের সুরে স্বপ্না (Swapna Barman) বলেন, “ইচ্ছে আছে, কিন্তু কোচ পাচ্ছি না। সুভাষ সরকার আমার কোচ ছিলেন। এখন তিনি ওড়িশা সরকারের অধীনে। আমাকে প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন না বলেছেন।” এই কোচ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান যে, “নতুন কোচের অধীনে এখন প্র্যাকটিস শুরু করলে বোঝাপড়া গড়ে উঠবে না। সময়ও খুব কম।”

ক্রীড়াক্ষেত্রে নতুন ভূমিকার কথাও তুলে স্বপ্না (Swapna Barman) বলেন, “আমি কোচিং করানোর সার্টিফিকেট পেয়েছি। উত্তরবঙ্গে নিজের অ্যাকাডেমি করার ইচ্ছে আছে। তবে একার পক্ষে জমি কেনা সম্ভব নয়। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার এগিয়ে এলে হয়তো সেই স্বপ্নও পূরণ হবে।” নিজের জীবন নিয়ে বায়োপিক তৈরির ইঙ্গিতও দিয়েছেন স্বপ্না।













