বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা (Kolkata) জুড়ে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি ক্রমাগত চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে আর এবার এর নেপথ্যে কাউন্সিলরদের ব্যর্থতার কথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ (Atin Ghosh)।
সাম্প্রতিক সময়ে গোটা শহর জুড়ে ডেঙ্গি পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সরকার এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে প্রতিনিয়ত আক্রমণ শানিয়ে চলেছে বিরোধী দলগুলি। আর এবার এই প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ অতীন ঘোষ। এক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের গলদ ছিল বলেই কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, তিন মাস আগে সকল কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি প্রস্তুতি বৈঠক ডাকেন অতীনবাবু। এক্ষেত্রে ডেঙ্গি অসুখকে কিভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করা হলেও বর্তমানে কেন সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হলো না, সেই নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এক্ষেত্রে তৃণমূলের পাশাপাশি বিরোধী কাউন্সিলররা সচেতন নয় বলেও এদিন মন্তব্য প্রকাশ করেন মেয়র পরিষদ।
বিশেষত এই পরিস্থিতিতে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার একাধিক প্রান্তে পরিত্যক্ত জমি, নর্দমা এবং পুকুরের সংখ্যার আধিক্য ক্রমাগত চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে। এই প্রসঙ্গে এদিন অতীন ঘোষ বলেন, “খালি জমি প্রসঙ্গে সরকারকে কঠোর আইন আনতে হবে। এই বিষয়ে সরকারকে আমি জানাবো।”
যদিও অপরদিকে ডেপুটি মেয়রকে উদ্দেশ্য করে এদিন কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তিনি বলেন, “বিরোধী কাউন্সিলর বলতে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় জন রয়েছে। আমাদের ডাকা হয়নি। কতবার নাগরিক কনভেনশন হয়েছে!” পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেস তরজা তোলার পাশাপাশি সজলবাবু বলেন,ভি”ব্যক্তিগত মালিকানাধীন যে সকল খালি জমি রয়েছে, তা পরিষ্কার করার পাশাপাশি শাস্তি এবং জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে। এর থেকে বেশি আর কিছুই করতে পারবে না সরকার।”
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ডেঙ্গি ছাড়াও ম্যালেরিয়া ক্রমাগত ছড়িয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে ১১ হাজারের অধিক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি ডেঙ্গির চোখরাঙানি মাঝে অবশেষে সমস্যার সমাধান করতে কতটা সফল হয় সরকার, সেটাই বর্তমানে মূল প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।