বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: যে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ইস্টবেঙ্গল, সেই কেরালাকেই তাদের ঘরের মাঠে ৫ গোল মারলো এটিকে মোহনবাগান। ডার্বির আগেই সবুজ মেরুণ শিবিরের এই মারাত্মক পারফরম্যান্স চিন্তা বাড়ালো ইস্টবেঙ্গল ভক্তদের। মাঠের ভেতরে ও বাইরে একাধিক বিতর্ক ও সমস্যার মাঝেই আজ কোচিতে ভালো ফর্মে থাকা কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৫-২ ফলে উড়িয়ে আইএসএলের বাকি দলগুলোকে কড়া বার্তা দিলো সবুজ মেরুণ শিবির।
ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করা কেরালার ইউক্রেনিয়ান বিদেশি কালিঝুনি আজ খেলার মাত্র ছয় মিনিটে আয়োজকদের এগিয়ে দিয়েছিল। এই সময় স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে থাকা দর্শকদের আনন্দ উল্লাসও চরমে ওঠে। কেরালা খেলাটি ভালোভাবে শুরু করেছিল, শুরুতেই এটিকে মোহনবাগানকে চেপে ধরেছিল। সাহালের সঙ্গে সুন্দর কম্বিনেশন প্লে করে কালিঝুনির গোলটি হোম ফ্যানদের উৎসাহ বাড়িয়েছিল।
কিন্তু ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে হুগো বুমো নিঃস্বার্থভাবে পেট্রাটোসকে দিয়ে গোল করানোর পর স্ট্যান্ডগুলি অনেকটাই শান্ত হয়ে যায়। এরপর থেকে চলতে থাকে শুধুমাত্র সবুজ মেরুণ শো। মনবীর সিংয়ের পাস থেকে প্রথমার্ধেই সবুজ মেরুণ শিবিরকে এগিয়ে দেন তারকা বিদেশি জনি কাউকো।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে লিস্টন কোলাসোর অসাধারণ অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান পেট্রাটোস। ৭১ মিনিটে পোগবাকে নামিয়ে এবং বুমোকে তুলে নিয়ে ডিফেন্সকে আরও দৃঢ় করার চেষ্টা করেন জুয়ান ফের্নান্দো। ৮১ মিনিটে রাহুল প্রবীণ গোল করে একটা শেষ আশা দেখিয়েছিলেন ব্লাস্টার্স ভক্তদের, কিন্তু এরপর পেট্রাটোস নিজের পাস থেকে লেনি রদ্রিগেজকে গোল করিয়ে এবং সংযুক্ত সময় গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করার পাশাপাশি সবুজ মেরুণ ভক্তদেরও একটি স্মরণীয় জয় উপহার দেন।
২৩শে অক্টোবর ওড়িশার বিরুদ্ধে জয়ে ফিরতে পারে কিনা ব্লাস্টার্স, সেদিকে নজর থাকবে। সেইসঙ্গে এটিকে মোহনবাগান এই ম্যাচের পর কলকাতা ডার্বি খেলতে নামবে। সেই ম্যাচে নামার আগে তারা যে লাল হলুদ শিবিরের চেয়ে কয়েক যোজন এগিয়ে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কোনওক্রমে হার বাঁচাতে পারলে সেটাই অনেক বড় পাওয়া হবে কনস্ট্যানটাইনের দলের।